দেবহাটায় যুবলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মৎস্যজীবী দলের সম্পাদকের অপপ্রচারের অভিযোগ!

0
566

 

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন পারুলিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারন সম্পাদক সাফায়েত হোসেন বাচ্চু। সম্প্রতি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরকে সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর ইতিপূর্বে সুনামের সাথে পারুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাছাড়া তিনি একজন ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সুনাম ক্ষুন্য করতে সাফায়েত হোসেন বাচ্চু তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর বলেন, সহিংসতাকালীন সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে সরাসরি লিপ্ত থাকা উপজেলা মৎস্যবজীবী দলের সাধারন সম্পাদক সাফায়েত হোসেন বাচ্চু প্রশাসনের তালিকাভুক্ত একজন বিএনপি নেতা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত রয়েছে সে। দীর্ঘদিন সে ধরে পারুলিয়া মৎস্য সেডের জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু’র নামীয় রেজিষ্ট্রেশনকৃত সরদার ফিস নামের একটি মৎস্য আড়ৎ ভাড়া নেওয়ার নাম করে জবরদখল করে রেখেছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে মোশারফ হোসেন মশু পারুলিয়া মৎস্য সেড কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে তার নিজ নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত “সরদার ফিস” এর মৎস্য আড়ৎটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে দানপত্র আঙ্গিকে আমাকে ও পারুলিয়ার অরুন ঘোষ নামের আরেক ব্যবসায়ীকে হস্তান্তর করেন। আমরা নতুন বছরের পহেলা জানুয়ারী থেকে সেখানে আমাদের মৎস্য ব্যবসা পরিচালনার জন্য রবিবার মৎস্য সেড কমিটি ও পারুলিয়া বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে শান্তিপুর্নভাবে হস্তান্তরকৃত মৎস্য আড়ৎটি বুঝে নেই। এঘটনার পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সাফায়েত হোসেন বাচ্চু আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের সহ আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্য ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে অপপ্রচার সহ আমাকে হয়রানী করে চলেছে। এবিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের কমান্ডার ও মৎস্য আড়ৎটির রেজিষ্ট্রেশনকৃত মালিক মোশারফ হোসেন মশু পারুলিয়া মৎস্য অকসন সেন্টারের সভায় লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, ওই মৎস্য আড়ৎটিতে আমি সুদীর্ঘকাল ধরে ব্যবসা পরিচালনা করি। সম্প্রতি আমার ব্যাক্তিগত সমস্যার কারনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর ও অরুন ঘোষের কাছে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আমার রেজিষ্ট্রেশনকৃত আড়ৎটি হস্তান্তর করেছি। পারুলিয়া মৎস্য সেড কমিটির সভাপতি রজব আলী মোল্যা জানান, পারুলিয়া মৎস্য সেডের সরদার ফিস নামক মাছের আড়ৎটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু’র নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত। তিনি নিয়ম মোতাবেক আড়ৎটি যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর ও অরুণ ঘোষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। হস্তান্তর পরবর্তী বর্তমান মালিক হিসেবে তারা আড়ৎটি শান্তিপুর্ন ভাবে বুঝে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের মহিউদ্দীন এক লিখিত প্রত্যয়নে জানান, পারুলিয়া মৎস্য অকশন সেন্টারে অবস্থিত সরদার ফিস নামক মাছের আড়ৎটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু’র মালিকানাধীন। তিনি মৎস্য সেড সুচনা লগ্ন থেকে মৎস্য আড়ৎটিতে ব্যবসা পরিচালনা ও ভোগদখল করে আসছেন। তিনি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নিজের মৎস্য আড়ৎটি যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর ও অরুণ ঘোষকে হস্তান্তর করেছেন। পহেলা জানুয়ারী থেকে হস্তান্তরপত্র অনুযায়ী সেখানে মিজানুর রহমান মিন্নুর ও অরুন ঘোষ নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এদিকে, নিয়ম মোতাবেক হস্তান্তরকৃত মৎস্য আড়তের মালিকানা থাকা স্বত্ত্বেও বিএনপি নেতা সাফায়েত হোসেন বাচ্চুর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন যুবলীগ সভাপতি মিন্নুর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। তারা তদন্তপুর্বক ষড়যন্ত্রকারী সাফায়েত হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।