দেবহাটায় ভূমি উপ-সহকারী কমকর্তার বিরুদ্ধে ভিপি সম্পত্তিতে খাজনা আদায়ের অভিযোগ

0
595

 

আব্দুর রব লিটু,দেবহাট: দেবহাটায় ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কমকর্তার বিরুদ্ধে ভিপি সম্পত্তিতে খাজনা আদায়ের অভিযোগ।৪০টাকার খাজনার দাখিলা কাটার নামে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে।জানাযায়,টাউন শ্রীপুর গ্রামের আবুবক্কার মন্ডলের স্ত্রী ময়না বিবি শ্রীপুর মৌজার ২১৮ খতিয়ানে ১৮৪৩ দাগের ০.৩৪ শতাংশ জমির বাবদ গত ইং ১৯.০৯.২০১৮তাং ২২২নং হোল্ডিং এর মাধ্যমে বাং ১৪২২ ধেকে ১৪২৫ সাল পর্যন্ত ৪ বছরের ৪০ টাকা খাজনা প্রদান করেন।আর এই ৪০টাকা খাজনার স্থলে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কমকর্তা শেখ আব্দুস সোবহান মোটা টাকা ঘুষ গ্রহন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু পরে খোজ খবর নিয়ে দেখা যায় ২১৮ খতিয়ানে ১৮৪৩ দাগের এই জমি সরকারের ’ক”তফশিল বর্নিত ভিপি সম্পত্তি।যার মধ্যে সরকারের পক্ষে বিভিন্ন ব্যক্তির ডি সি আর দেওয়া আছে।এখন স্থানীয়দের প্রশ্ন সরকারের ’ক”তফশিল বর্নিত ভিপি সম্পত্তিতে কিভাবে খাজনার দাখিলা হয়। এছাড়া উপ-সহকারী কর্মকতা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাতে বাড়তি টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগও আছে। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে প্রায় ১০ বছর পিয়ন পদে বর্তমান কর্মস্থলেই কর্মরত ছিলেন তিনি। পদোন্নতি পাওয়ার পর দুই এক বছর বাহিরে কাটালেও তিনি স্থানীয় হওয়ায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে কৌশলে এই বাড়তি টাকা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিভাবে “ক” তফশিল বর্নিত ভিপি সম্পত্তির আদায় করা হয় সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহান জানান, ভিপি সম্পত্তিতে খাজনা নেওয়া যায় না। তবে এটি সে ভুল করে নিয়েছেন দাবি করেন। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বিকার করেন। তবে, তিনি অবৈধ পন্থায় বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার পাশাপাশি নিজ বাসভবন এবং কলারোয়ায় তার শশুর বাড়ি এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করেছেন বলেও জানা গেছে। তার এই অর্থের উৎসের অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসতে পারে আসল রহস্য।ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিময়। ঐ ব্যক্তি প্রথমে আমার কাছে এসেছিল, আমি অনিয়মের আশ্রয় নেয়নি। পরে ছোট বাবুর কাছে কোন পন্থায় করে দিয়েছেন তা জানান নেই বলে জানান। তবে, সচেতন মহল দাবি করেন সারাদেশের ন্যায় দেবহাটার প্রতিটি ভূমি অফিসে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হলে সাধারণ মানুষ হয়রানী থেকে রেহাাই পাবে।