দেবহাটায় বসতভিটা বার বার ভাংচুর করে জবর দখলের পায়তারা: সুবিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন

0
231

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বসতভিটা বার বার ভাংচুর করে জবর দখলের পায়তারা। বিচারের আশায় দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভ‚ক্তভোগীরা। সুবিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দেবহাটা সদরের মৃত বিলাত আলীর পুত্র রমজান আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাতের আধারে বেড়া দিয়ে বসত ভিটার কিছু অংশ জবর দখলে নিতে রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভাংচুর, সবজি বাগান এবং গাছ-গাছালী কেটে উচ্ছেদ করে আমার ভাই মোহাম্মাদ আলী। এ ব্যাপারে আমি দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। দেবহাটা মৌজার ৬৪০/১ খতিয়ানের ১০৮৬ দাগের ১১ শতক জমি পৈত্রিক সুত্রে এবং ১১ শতক জমি দুই বোনের নিকট থেকে ক্রয় করে প্রায় ২৫ বছর ধরে বসাবস করে আসছি। কিন্তু আমার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী পুর্বে পৈত্রিক ১০ শতক বিলান জমি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে পরে টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে লিখে নিয়ে বিক্রয় করে দেয়। আর মেঝ ভাই আহম্মদ আলী ১৩ বছর আগে তার মেয়ের চাকরির জন্য ২৯ শতক জমি আমাকে লিখে দেওয়ার নাম করে ২লাখ ৮১ হাজার টাকা গ্রহন করে। কিন্তু পরে সে ঐ জমি না দিয়ে উল্টো আমার উপর হুমকি দিতে থাকে। কিছু বলতে গেলে মারতে তেড়ে আসে। এসব বিষয় সমাধানের জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় গন্যমান্য বাক্তির হস্তক্ষেপে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও মানতে নারাজ আমার ভায়েরা। লিখিত বক্তব্যে আরো জানায়, দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় বসত ভিটার কিছু অংশ জোর পুর্বক দখলের করতে কয়েক দিন পুর্বে রাতের আধারে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয় আমার ভাই ও তার সহযোগীরা। পরে সবজি এবং গাছ-গাছালী কেটে দেয়। গত ২৮/০৫/২০ তারিখে বড় ভাই মোহাম্মদ আলী ও তার দুই পুত্র ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ঐ জমির ২টি আমগাছ কাটলে আমরা দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। দেবহাটা থানা বিষয়টি সমাধানের জন্য পারিবারিক ভাবে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। গত ৫জুন শুক্রবার মিমাংশার কথা থাকলে ঐ দিন সকালে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি হই। এ সুযোগে বড় ভাই মোহাম্মদ আলী ও তার দুই পুত্র কবীর হোসেন এবং সালাউদ্দীন সোমবার ৮জুন সকাল ৭ টার দিকে আবার হামলা চালায় আমার বসতবাড়ির উপর। এরপর তারা আমাদের গোয়ল ঘরের মধ্যে থাকা মুরগীর টপ এবং জ্বালানী কাঠ বাহিরে ফেলে দেয়। বাধা দিলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় বড় ভাই মোহাম্মদ আলী ও তার দুই পুত্র কবীর হোসেন এবং সালাউদ্দীন। বর্তমানে আমরা উক্ত জমি দখলে নিতে এবং দোষিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।