দু’হাজার বছরের পুরনো ওয়াইনের

0
510

খোঁজ মিলল প্রায় দু’হাজার বছর আগের পুরনো সুরার। এর পরিমাণ প্রায় ৩.৫ লিটার বা ১১৮ আউন্স। রঙ হলুদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর গন্ধ পুরোপুরি চিনা ওয়াইনের মত। গন্ধের মাত্রা অত্যন্ত তীব্র। এই ওয়াইন প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে।
কথিত আছে ওয়াইন যত পুরনো হয় তার নেশা তত বেশি হয়৷ তাই প্রবাদেও আছে “ওল্ড ওয়াইন ইন এ নিউ বটল” অর্থাৎ সাজ পোশাক যতই পুরনো হোক না কেন পুরনো ওয়াইন সবসময়ই দামী এবং তার চাহিদা তুঙ্গে৷ সেই কারণেই অনেকেই ওয়াইনকে পুরনো করতে ডাম্পিং রুমে রেখে দেন৷ কেউ আবার ওয়াইন রাখার আলাদা ব়্যাকও তৈরি করেন৷
তবে ১০০ কিংবা দুশ’ বছরের পুরনো ওয়াইনের খোঁজ মিললেও প্রায় ২০০০০ বছরের পুরনো ওয়াইন? অকল্পনীয়। সেই সুরারই হদিশ পেয়েছেন পুরাতত্ববিদেরা৷ ওই সারে তিন লিটার ওয়াইন রয়েছে একটি ব্রোঞ্জের পাত্রে৷ পাত্রটি সিল করা৷ যাতে বাতাস ঢুকে তা নষ্ট করে দিতে না পারে ওয়াইনকে৷ এতটা পড়ে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে কোথায় মিলল এত বছরের পুরনো ওয়াইন৷ হেনানে পাওয়া গিয়েছে সেই দুর্মূল্য তরল৷
লউয়াং শহরের ইনসস্টিটিউট অফ কালচারাল রেলিক্স অ্যান্ড আর্কিওলজিকাল প্রধান শি জিয়াজেন জানিয়েছেন, ওই ব্রোঞ্জের পাত্র ভর্তি তরল নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরও গবেষণা করার জন্য৷ তার গুনগত মান ও এলকোহলের মাত্রা সঠিক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে৷
ওয়াইন ভর্তি পাত্রটি যে সমাধির ভিতর পাওয়া গিয়েছে সেখানে আর একটি বন্য হাংসাকৃতির বাতিদানও মিলেছে৷ আর পাওয়া গিয়েছে সেখানে বসবাসকারী মানুষের কিছু ব্যবহার করা সামগ্রী৷
মনে করা হচ্ছে, ওয়েস্টার্ন হ্যান ডাইনেস্টির সময়কালের ওয়াইন এটি৷ অর্থাৎ ২০২ বিফোর ক্রাইস্ট থেকে ৮ এডি এর সময়কাল৷ তবে পাত্রটির তরল যাতে উবে না যায় তার জন্য সেটি কিভাবে আটকানো ছিল এবং কোথায় কিভাবে রাখা ছিল সে ব্যাপারে জিংহুয়া তাদের রিপোর্টে খুব একটা খোলসা করে জানায়নি৷
এর আগে ২০১০ সালে পুরাতত্ববিদরা ২ হাজার চারশো বছরের পুরনো সুপের পাত্র সমাধি থেকে খুঁজে পায়৷ সসময় জিয়ান বিমান বন্দরের স্থান বাড়ানোর জন্য খননের কাজ চলছিল৷ সেই সময়ই বিখ্যাত প্রাচীন টেরাকোটা শিল্পীদের বসতি এলাকায় খনন করেই ওই পাত্র পাওয়া যায়৷ তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন