দুর্নীতি ধরা পড়লে সবখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
222

টাইমস ডেস্ক:


যেখানে দুর্নীতি ধরা পড়েছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিল উত্থাপনের পর তার ওপর জনমত যাচাই-বাছাই প্রস্তাব প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা জানান।

এ প্রস্তাব উপস্থাপন করে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।

জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়, কিন্তু যেখানে দুর্নীতি ধরা পড়েছে, আমরা সেখানেই ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। জেলে পর্যন্ত তাদের নিয়েছি।

প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, খুলনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায় তারই প্রতিফলন। এর আগে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রামে করা হয়েছে। হেলথ ডাটাবেজ তৈরির বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির যাতে হেলথ ডাটা করতে পারি, সে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ডাক্তার-নার্সের স্বল্পতা দূর করতে করোনাকালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরো নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে অনেকেই বলেছে অব্যবস্থাপনার কথা। আসলে কোনো ব্যবস্থাপনাই তো ছিলো না। বিশ্বের কোনো দেশেরই এ বিষয়ে জানা ছিলো না। যখন জানা গেলো, তখন ব্যবস্থা নেওয়া হলো। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড- তারা এখনো করোনার টিকা দিতে শুরু করতে পারেনি, আমরা টিকা দিতে শুরু করেছি। আমরা সবচেয়ে কম দামে করোনার ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হয়েছি। ভারত সরকার যে দামে কিনেছে, আমরা সেই দামে কিনেছি, আমাদের সঙ্গে সেই দামেই চুক্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের বাজেট আগামীতে বাড়বে। আগামী পাঁচ বছরের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট দ্বিগুণ হয়ে যাবে। করোনার সময় একজন রোগীর পেছনে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

জাহিদ মালেক স্বপন আরো বলেন, আমরা করোনা কীভাবে প্রতিরোধ করেছি, তা দেশবাসী, বিশ্ববাসী দেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করে চিঠি দিয়েছে। এখন আমাদের করোনা সংক্রমণের হার শতকরা তিন ভাগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সংক্রমণ শতকরা তিন ভাগের নিচে নেমে গেলে করোনা ফেস আউট হয়ে যায়। আমরা সেই পর্যায়ে চলে এসেছি।