দু’টি কিডনি হারিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী অপর্ণা বাঁচতে চাই

0
901

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
আশাশুনিতে দু’টি কিডনি হারিয়ে অকাল মৃত্যুর প্রহর গুণছে হতদরিদ্র পরিবারের গৃহবধু দুই শিশু সন্তানের জননী অপর্ণা বৈদ্য। উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ বৈদ্য ১১ বছর আগে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়দল গ্রামে। মা, স্বামী- স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও শ্বাশুড়ি সহ মোট ৬ জনের সংসার। সহায় সম্বল বলতে ৪৯ শতক জমি। মাটির ঘরেই বসবাস। সংসার চালাতে ছিট কাপড়ের ব্যবসা করেন কৃষ্ণ। মেয়ে পম্পা ৪র্থ শ্রেণি আর ছেলে বাপি ২য় শ্রেণিতে পড়ে। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া আর মায়ের ঔষধ খরচ যুগিয়ে একার রোজগারে কোনমতে সংসার চলে তাদের। কিন্তু গত প্রায় ১ বছর যাবত শরীরে অসুস্থতা বোধ করতে থাকে স্ত্রী অপর্ণা বৈদ্য। প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও অসুস্থতা যখন বাড়তে থাকে তখন স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয় সে। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে সাতক্ষীরয়া কয়েকটি হাসপাতালে পৃথক-পৃথক চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে সুদর্শনা অপর্ণার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে উন্নত চিকৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ২ জন কিডনি বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে একই রিপোর্ট পাওয়া যায়। অর্থাৎ, গৃহবধু অপর্ণাকে বাঁচাতে হলে তার দু’টি কিডনিই বাদ দিতে হবে। খবর শুনে সেই থেকে বিমর্ষ হয়ে পড়েছে অপর্ণা। আর তার অবর্তমানে ২ শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্বাক চেয়ে থাকছে তাদের মুখপানে। অপর্নার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই তার চিকিৎসা বাবদ ধার দেনা করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছে তার পরিবার। ডাক্তারি পরামর্শ মতে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে অপর্ণাকে ২ বার ডায়ালেসিস করাতে হয়। যেখানে মাসিক খরচ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা যোগাড় করা পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। সাহায্যের জন্য গত দেড় মাস আগে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন করলেও সেখান থেকে মেলেনি কোন অর্থ। তাই টাকার অভাবে সপ্তাহে ১ বার করে ডায়ালেসিস করিয়ে কোনমতে বেঁচে আছে সে। মা হয়ে চোখের সামনে মেয়ের ধুকে ধুকে মরা আর সইতে পারছে না অপর্ণার মা হাজারি মন্ডল। তাই কিডনি ক্রয় করার সামর্থ না থাকায় নিজেই একটি কিডনি দিতে চাচ্ছে সে। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন করতে কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যা যোগাড় করা কৃষ্ণ বৈদ্যর মতো দরিদ্র পরিবারের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। তাই ২ সন্তানের জননীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে ছিটকাপড়ের ফেরিওয়ালা কৃষ্ণ বৈদ্য ও তার পরিবার। গৃহবধু অপর্ণাকে বাঁচাতে ০১৭৯৮-০৩৩১০৫ বিকাশ নম্বরে অথবা ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, কপিলমুনি শাখা, পাইকগাছার ০২০৮১২২০০০০৫৯৯৯ সঞ্চয়ী হিসাবে সাহায্য পাঠানোর জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।