দিজোঁকে বিধ্বস্ত করে ফরাসি কাপের সেমিফাইনালে পিএসজি

0
232

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : ফরাসি কাপে কোয়র্টার ফাইনালে দিজোঁর বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। আরো একবার প্রতিপেক্ষর আত্মঘাতি গোলের সুযোগে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪৭ সেকেন্ডের মধ্যে দিজোঁর ডিফেন্ডার ওয়েসলি লটোয়ার আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। মিচেল বাক্কারের লো ক্রস থেকে ওয়েসলি তার নিজের জালে বল জড়ান। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় আত্মঘাতি গোলের সুবিধা ভোগ করেছে পিএসজি। সোমবার লিগ ওয়ানে লিঁওর ফার্নান্দো মারকালের আত্মঘাতি গোলে বড় জয় পেয়েছিল পিএসজি। ১৩ মিনিটে মৌনির চৌইয়ার লো কার্লিং শটে পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। তবে এরপর আর পিএসজিকে কোনভাবেই আটকাতে পারেনি দিজোঁ। যদিও পূর্ণ শক্তির পিএসজি কাল মাঠে ছিল না। এ্যাঙ্গেল ডি মারিয় ও মাওরো ইকার্দি বেঞ্চে থাকলেও নেইমার তো দলেই ছিলেন না। থমাস টাচেলের বিবেচনায় মূল একাদশে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও এডিনসন কাভানি। জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে যাবার প্রায় দ্বারপ্রান্তে থাকা কাভানি প্রায় মাসখানেক পর মূল একাদশে ফিরেছেন। ২১ মিনিটে এই উরুগুইয়ান তারকার হাত ধরে পিএসজি প্রায় এগিয়েই গিয়েছিল। থমাস মুনিয়ারের ক্রস থেকে কাভানি বল জালে জড়ালেও ভিএআর প্রযুক্তিতে তা বাতিল করা হয়। বেলজিয়ান ডিফেন্ডার মুনিয়ারের হ্যান্ডবলের কারনে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। গোলটি পেলে তা হতো পিএসজির হয়ে কাভানির দুইশতম গোল। ম্যাচ শেষে টাচেল বলেছেন, ‘এটা কোন বিষয় নয়। কাভানি হয়ত তার ২০০তম গোলটি শনিবার এমিয়েন্সের বিপক্ষে অথবা মঙ্গলবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে পেয়ে যাবে। আমি এটুকুতেই আশ্বস্ত হয়েছি যে সে মাঠে আছে। এই ম্যাচে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল, এজন্য আমি খুশী।’ বিরতির ঠিক আগে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের প্রথমবারের মত এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ৫০ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডের সাহায্যে দলকে ৩-১ ব্যবধানের লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান থিয়াগো সিলভা। পাঁচ মিনিট পর পাবলো সারাবিয়া যে গোলটি করেছেন তা এবারের মৌসুমে ফিরতি বল থেকে তার ১১তম গোল। ৮৬ মিনিটে এমবাপ্পের ক্রস থেকে সেনু কোলিবেলির পায়ে লেগে আবারো আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় ডুবে দিজোঁ। ইনজুরি টাইমে এমবাপ্পের সেন্টার থেকে সারাবিয়া নিজের দ্বিতীয় গোল করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এর আগে দিনের শুরুতে আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে হুসেম অয়ারের একমাত্র গোলে মার্সেইকে বিদায় করে দিয়ে ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ চার নিশ্চিত করেছে লিঁও। ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেছেন অয়ার। এর আগে ৭০ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন লিঁওর মৌসা ডেম্বেলে। মার্সেই গোলরক্ষক ইয়োহান পেলে পেনাল্টি রুখে দিলেও শেষ পর্যন্ত দলের পরাজয় আটকাতে পারেননি। এই নিয়ে এবারের মৌসুমে তৃতীয়বার পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করলেন ডেম্বেলে।