দাকোপে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ

0
820

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নয়টি সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সহসভাপতি রঘুনাথ রায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পিছন থেকে প্রায় ২০ বছর বয়সি নয়টি (মহানিম ও চম্বল) গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

এর আগেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ইউনিয়নের ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার পাশের বহু পুরাতন সরকারী এবং ব্যক্তি মালিকানা দামি গাছ বিক্রয় করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কাঠ ব্যবসায়িরা গাছগুলো কেটে নিয়েছে। কিন্তু পরিষদের অন্য সদস্যরা জানে না গাছগুলো কেন বিক্রি করা হল।
২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বরে জেলা প্রশাসকের কাছে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন তিন জন ইউপি সদস্য। সেখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার পার্শের গাছ বিক্রি করে চার লক্ষ টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ ছিল কিন্তু কোন অজানা কারণে সে অভিযোগের বিষয়গুলো আজও তদন্ত হয়নি। আর তাই হয় তো তিনি মনের খেয়ালে একের পর এক সরকারী দামি গাছ বিক্রি করে পকেট ভরছেন বলে জানান এলাকাবাসি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য তন্দ্রা রায়, জাহাঙ্গীর গাজী ও দীনবন্ধু মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গাছ কেন বিক্রি করা হল তা আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি এবং এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সভায় আলোচনা হয়নি।

বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ গাইন খুলনাটাইমসকে  বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান একের পর এক রাস্তার পার্শের এবং পরিষদের দামি গাছগুলো বিক্রি করে অর্থআত্মসাৎ করছেন অথচ বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো সত্বেও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গেল দুদিন বারবার ইউপি চেয়ারম্যান রঘুনাথ রায়ের মুঠোফোনে কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যাইনি, সে কারণে তার বক্তব্য তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ছাড়া এভাবে গাছ কাটা যায় না। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করব।