দর্শক না ফিরলে ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে: ইন্তেখাব দিনার

0
342

খুলনাটাইমস বিনোদন : ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। মঞ্চ দিয়ে শুরু, তারপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে তিনি পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। টিভি নাটকের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন কয়েকটি চলচ্চিত্রেও। বর্তমানে এ অভিনেতা কাজ করছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটকে। নাটকের ব্যস্ততা সম্পর্কে এ তারকা জানান, এখন ধারাবাহিক নাটক নিয়েই ব্যস্ত আছি। বর্তমানে কাজ করছি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে। এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘পরের মেয়ে’। সৈয়দ জিয়াউদ্দিনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন হাবিব শাকিল। নাটকটি অন্যান্য নাটক থেকে অনেকটাই ব্যতিক্রম। এ ছাড়া এক ঘণ্টার নাটকেও কাজ করছি, তবে কম।’ অসংখ্য নাটকের ভিড়ে এই নাটকটির মধ্যে ব্যতিক্রমী কী আছে। দিনার জানান, নাটকটির গল্প ভিন্ন। নাটকে দেখা যায়, মেধাবী নাজিফা ছাত্রী অবস্থায় তার পরিবারের অসম্মতিতে বাউ-ুলে মিতুলকে ভালোবেসে বিয়ে করে ফেলে। এর ফলে নাজিফার বাবা মেয়েকে ত্যাজ্য করেন। নাজিফার শাশুড়ি, নাজিফার প্রতি মমত্ব অনুভব করেন। নাজিফাও তার শাশুড়িকে ভালোবেসে ফেলে। শাশুড়ি অসুস্থ হলে নাজিফা ও মিতুল প্রায় দেড় বছর সেবা শুশ্রূষা করে শাশুড়িকে বাঁচিয়ে তোলে। এর মাঝেই জন্ম নেয় আরিয়ানা। পারিবারিক এসব ঝঞ্ঝাটের কারণে নাজিফার নিজের পড়াশোনাটা আর হয় না। মেয়ের বয়স যখন মাত্র ছয় মাস, তখনই নাজিফার জীবনে সব থেকে বড় আঘাতটা আসে। গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মিতুল খুন হয়ে যায়। অন্যদিকে মিতুলের বড় ভাই নিজের মায়ের কোনো খোঁজ রাখেন না। নাজিফা নিজের সন্তানের আর শাশুড়ির জীবন বাঁচাতে ঢাকা শহরে ছোট একটা চাকরি করতে শুরু করে। নাজিফার বাবা-মা মেয়ের পাশে দাঁড়াতে চান, কিন্তু অভিমানী নাজিফা তা প্রত্যাখ্যান করে।’ অভিনয় শিল্পীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির ব্যাপারে দিনার বলেন, ‘শিল্পীদের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হচ্ছে দর্শকপ্রিয়তা। পারিশ্রমিকের বাইরে তারাই শিল্পীদের কাজের মূল অনুপ্রেরণা। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির প্রশ্নটা খুবই যুক্তিসঙ্গত। অভিনয়শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। কারণ শিল্পীরা পাবলিক ফিগার। এরা সমাজে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে সমাজে শিল্প ও শিল্পীর কদর থাকে সেই সমাজ হয় প্রশংসিত। কারণ আমরা এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরি। তাই আমি চাইব নির্বাচনে জয়ী হলে শিল্পী সংঘের হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করতে। বর্তমানে নাটকে দর্শকের আর আগের মতো আগ্রহ নেই। এই দৈন্যদশা থেকে পরিত্রাণ চান দিনার। বলেন, ‘দর্শকরা ফিরে আসুক। তারা আবার বাংলা নাটক দেখুক। অন্য পেশার সঙ্গে এ পেশার পার্থক্য হচ্ছে আমরা যেমন অর্থ পাই তেমনি দর্শকদের অ্যাপ্রিসিয়েশন পাই। সেটা যখন একজন শিল্পী পায় না তখন হতাশ লাগে। কাজের প্রতি শিল্পীর অ্যাফোর্টটা কমে যায়। তাই আমি চাই দর্শক ফিরে আসুক। দর্শক না ফিরলে ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।’