তেলিগাতিতে রাস্তা দেয়ার নামে প্রতারণা : থানায় মামলা

0
203

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি:
নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতি পাকার মাথা এলাকার মৃত হাছেন গাজীর পুত্র রহিম গাজী (৪০) ও তার ভাই মোঃ ইব্রাহিম গাজী (৪৫) এর বিরুদ্ধে প্রতিবেশি মশিউর রহমান (৫০) চলাচলের রাস্তা দেয়ার নাম করে নগদ টাকা ও তার জমি প্রতারণার মাধ্যমে দখলে নেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলা নং সিআর ৩৫/২০। এর আগে গত ২৭ আক্টোবর ভুক্তভোগি আড়ংঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং- ৯৩৯। মামলা ও থানার জিডি সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগি মশিউর রহমানের বাড়ি থেকে বের হবার সুবিধার্থে অভিযুক্ত রহিম গাজী, ইব্রাহীম গাজী, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগদ ১’লক্ষ ৫৫ হাজার টাকায় ৫০ পয়েন্ট জমি গ্রহন করার শর্তমোতাবেক মশিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট চওড়া ও ৬০ ফুট লম্বা রাস্তার জায়গা দেয়ার অঙ্গিকার করেন। যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবহিত রয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর মশিউর রহমান বিবাদিদেরকে রাস্তার জায়গা বুঝিয়ে দিতে বললে, বিবাদিগণ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে কাঠের বাতা দিয়ে মামলার বাদী মশিউরকে মারতে আসলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। বিবাদীগণ মশিউরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় মশিউর রহমান আড়ংঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। যার নং ৯৩৯, তাং ২৭/১০/২০ ইং। গত ১৪ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার এএস আই মোঃ আল- মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতে আড়ংঘাটা থানার নন এফআই আর নং ৩৮-২০ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ভুক্তভোগি মশিউর রহমান জানান আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদী রহিম গাজী ও তার ভাই ইব্রাহিম গাজী মশিউর রহমানকে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে রহিম গাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মশিউর রহমানের চলাচলের রাস্তা না থাকায় তার সাথে মৌখিকভাবে চুক্তি হয়। বিনিময়ে ২’লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও পিছনের জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার কথা। সেখানে সে ১’লক্ষ টাকা দিয়ে মশিউর রহমান দির্ঘ্য প্রায় ৪ বছর বাকী টাকা এবং জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে তালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে তার সাথে বিরোধের সৃষ্ঠি হয়। এ ব্যাপারে তিনি জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। আড়ংঘাটা থানার এএস আই আল মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মশিউর রহমান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন যার সত্যতা পাওয়া গেছে। তার প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়েছে।