তথ্য গোপন করে খুমেকে ভর্তি হন সন্দেহভাজন করোনা রোগী, চিকিৎসক-নার্স কোয়ারেন্টাইনে

0
251

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া সন্দেহভাজন করোনা রোগী থাইরয়েড সার্জারির জন্য ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যান। এরপর ওই হাসপাতাল থেকে সব রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে নিজ নিজ বাসায় সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিন্তু ৪৫ বছর বয়সী মৃত ওই ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভর্তির সময় এসব তথ্য গোপন করেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, থাইরয়েড সার্জারিতে ইনফেকশন হওয়ার কারণে এখানে আসেন তিনি। তাই তাকে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এ ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন এসব তথ্য প্রকাশ পায়। এরপর ওই রোগীকে ফাঁকা ওয়ার্ডের এক কোণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। তার লাশ হাসপাতালেই রয়েছে। তিনি মহানগরীর হেলাতলা এলাকার বাসিন্দা।
ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তির চিকিৎসা সেবায় থাকা ১৬ জনকে এ ঘটনার পরই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের পেছনে থাকা ডরমেটরিতে তাদের পৃথক পৃথক রুমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন ডাক্তার, ১০ জন নার্স ও ২ কর্মচারী রয়েছেন।’
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট ইনচার্জ ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ওই ব্যক্তি তথ্য গোপন না করলে তাকে করোনা ইউনিটেই নেওয়া হতো। তথ্য গোপন করার কারণে তাকে সার্জারিতে নেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পর এখানে থাকা ৩০ ভাগ রোগীও হাসপাতাল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।
ঢাকার ওই বেসরকারি হাসপাতালের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করে জানায়, আইসিইউর সবাই কোয়ারেন্টিনে যাবার পর ওই রোগী খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকায় এই হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির পাশেই ছিলেন খুলনার ওই ব্যক্তি। করোনা পজিটিভ কিনা নিশ্চিত নই, তবে হাই পসিবিলিটি রয়েছে।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে আইইডিসিআর এর একটি টিম খুলনা এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর থেকে তারা খুলনায় এসে পৌঁছেছেন। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।