ডেমোক্রেট প্রাইমারি: বড় উত্থান বাইডেনের

0
223

খুলনাটাইমস বিদেশ : শুরুর দিকে ভালো ফল না করতে পারলেও সুপার টুইসডের ভোটে চমক দেখিয়ে ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়ে শীর্ষে চলে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ১৪টি অঙ্গরাজ্যের ককাস ও প্রাইমারির মধ্যে বেশিরভাগগুলোতে জিতে প্রতিনিধি সংখ্যায় তিনি বার্নি স্যান্ডার্সকে বেশ খানিকটা পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সুপাই টুইসডের প্রাইমারিতে বাইডেন ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, ওকলাহোমা, আরাকানসো, আলাবামা, টেনেসি, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়াতে তিনি স্পষ্ট ব্যবধানে জিতেছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। টেক্সাস এবং মাইনেতে তিনি সামান্য এগিয়ে থাকলেও ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্সের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়া প্রাইমারি ও ককাসগুলোর পর শীর্ষে থাকা স্যান্ডার্স জিতেছেন ভারমন্ট, কলোরাডো ও উটাহতে। ব্যাপক সংখ্যক ডেলিগেট বা প্রতিনিধি সম্বলিত ক্যালিফোর্নিয়াতেও তিনি ব্যাপক ভোটে এগিয়ে আছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় জিতলে তা বামঘেঁষা এ রাজনীতিককে খানিকটা সুবিধা করে দিতে পারে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের। সুপার টুইসডের মাধ্যমে এক তৃতীয়াংশ রাজ্যে ডেমোক্রেটদের মনোনয়ন লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটল। এদিনের লড়াইয়ে নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও কংগ্রেস সদস্য তুলসি গ্যাবার্ড ছিলেন। আমেরিকান সামোয়ার ককাস ছাড়া কোথাও ব্লুমবার্গ ভালো করেননি। মনোনয়ন লড়াইয়ে থাকবেন কিনা, বুধবার তা নিয়ে মার্কিন এ ধনকুবের নিজেই মূল্যায়ন করবেন তার প্রচার শিবিরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবারের পর নভেম্বরের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীতার লড়াই এখন কেবল স্যান্ডার্স আর বাইডেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়তে যাচ্ছে বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের। কয়েকদিনের ব্যবধানে পিট বুটেজেজ ও অ্যামি ক্লবুচারের সমর্থন জোগাড়ও সাবেক এ ভাইস প্রেসিডেন্টের সহায় হয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেট ‘প্রগতিশীল’ ঘরানার ওয়ারেন লড়াইয়ে থাকায় ভোট কমেছে স্যান্ডার্সের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাইডেন ও স্যান্ডার্সের ব্যাগে ৩৯৬ ও ৩১৪ ডেলিগেট ঢুকেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব রাজ্যে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটার বেশি ছিল, সেসবগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টই ভালো ফল করেছেন। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পকে হারাতে দরকার, এমন উদ্দীপনা বাইডেনের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন রাজনীতি ও মার্কিন প্রশাসনে থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য অনেক মালমশলাই রিপাবলিকানদের হাতে থাকতে পারে। অন্যদিকে স্যান্ডার্সের প্রচারে উদ্যম থাকলেও স্বঘোষিত এ ‘সোশাল ডেমোক্রেটের’ পক্ষে দোদুল্যমান ভোটারদের সমর্থন জেতা বেশ কষ্টসাধ্য।
৭৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিক অবশ্য তার প্রচারে আমেরিকার অর্থনীতির খোলনলচে বদলে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বলছেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অধিক সরকারি বিনিয়োগ এবং ধনীদের ওপর বেশি কর আরোপের কথাও।