ডুমুরিয়ায় মোস্তফার মোড়ে ৩ একর খাস জমির সন্ধান! আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণ

0
204
ডুমুরিয়ায় মোস্তফার মোড়ে ৩ একর খাস জমির সন্ধান! আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণ

এস রফিক, ডুমুরিয়া:
ডুমুরিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য আরো ৩ একর খাস জমির সীমানা নির্ধারণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রæয়ারি) খুলনা শহর সংলগ্ন গুটুদিয়া ইউনিয়নাধীন বিলপাবলা মৌজাস্থ খাস খতিয়ানভুক্ত ওই জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।
জানা যায়, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীন, ভূমিহীন ও ছিন্নমুল পরিবারদের জন্য ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ডুমুরিয়ায়। ইতিমধ্যে ৬৪০টি ঘর ভুমিহীন পরিবারের নিকট হস্তান্তরিত হয়েছে। এছাড়া আরো ৬০টি ঘরের কাজ বর্তমান চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনা শহর কেন্দ্রীক গুটুদিয়া ইউনিয়নে মোস্তফার মোড় এলাকায় মুল্যবান তিন একরের অধিক খাস জমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সবমিলে এপর্যন্ত উপজেলায় ৩৫ একর জমির উপর গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নে অসংখ্য হতদরীদ্র, অসহায়, দুঃস্থ ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এরা অন্যের জায়গায় বা রাস্তার পাশে ছিন্নমূলভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য গৃহহীনদের গৃহনির্মানের ব্যবস্থা করতে ইউএনওথর নিকট গত ২৫ জানুয়ারী আবেদন করি। এখানে জমির বাজার মূল্য প্রতি শতক ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ডুমুরিয়ায় ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের টার্গেট রয়েছে। ইতিমধ্যে কাঠালতলা, চুকনগর, বাদুরগাছা, বাহাদুরপুর, ধামালিয়া, থুকড়া, সাজিয়াড়া, এলাকায় প্রায় সাড়ে ৬শ ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর হয়েছে। তবে সবচেয়ে উত্তম জায়গা মোস্তফা মোড় এলাকার ওই জমি। সরেজমিনে যেয়ে জায়গা সার্ভে করে সীমানা নির্ধারন করেছি। আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিকে ঘর নির্মান কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, স্থানটা যেহেতু শহর কেন্দ্রীক, এখানে ঘর নির্মাণ হলে একটা নান্দনিক দৃশ্য শোভা পাবে। নজর কাড়বে পথচারী ও শহরবাসীর।