ডুমুরিয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

0
301

এস রফিক, ডুমুরিয়া: ডুমুরিয়ায় বোরো আবাদ ও বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।তীব্র শীতে কোল্ড ইনজুরি ও বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক বীজতলা।একে তো ধানের দাম কম,তার উপর নানা প্রতিকুলতায় ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে বোরো চাষীরা।অনেক চাষীরা আবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে চাষাবাদ থেকে।তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এ বছর বেশী বোরো আবাদ হবে।কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৪০টি ব্লকে ২১ হাজার ৩’শ ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।যা গত বছরের চেয়ে ২’শ হেক্টর জমি বেশী।এজন্য ৮’শ ১৫ হেক্টর জমি বীজতলার জন্য প্রস্তÍুত করা হয়েছে।চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে বীজতলার জন্য নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছে চাষীরা।এ নিয়ে কথা হয় বোরো চাষী রুপরামপুর এলাকার শিবুপদ জোর্দ্দারের সাথে।তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,গত বছর ৮বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম।এ বছর মাত্র ৩বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি।কারন হিসেবে তিনি বলেন,ধানের দাম কম তাই,তাছাড়া বর্গাচাষী মিলছে না যে কারনে ৫বিঘা জমি ফেলে রাখতে হচ্ছে। অপর এক বোরো চাষী মাগুরখালী ইউনিয়নের শেখেরট্যাক এলাকার মুনছুর আলী সরদার জানান,এবছর আমন চাষে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।তাই বাধ্য হয়ে ৩৫ বিঘার পরিবর্তে এবছর ৫০বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি।ধানের দাম কম থাকলেও উপায় নাই,জমি মালিকের হারির টাকা তো পরিশোধ করতে হবে।বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ চাষী খলশি এলাকার মাজিদা বেগম জানান,স্বাম-স্ত্রী মিলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বোরো আবাদ করছি কিন্তু কঠিন শীত ও বৃষ্টির পানিতে আমাদের আশপাশ এলাকায় বীজতলা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।একদিকে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন অন্যদিকে ঘন কুয়াশার হাত থেকে রেহাই পেতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।তিনি আরও বলেন,ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি।ধানের দাম ভাল পেলে ভাল,অন্যথায় জমি মালিকের হারির টাকা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।বোরো আবাদ ও বীজতলা নিয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাদ্দেক হোসেনের সাথে। এবছর আমন আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্য বছরের চেয়ে চাষীরা বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছে এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন বোরো আবাদ ও বীজতলা নিয়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে পড়েই আছে।ঘন কুয়াশার হাত থেকে বীজতলা রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা,ভোরে পানি ছিটানোসহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।ধানের মহামারী ব্লাষ্টের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্রি-৫৮,৬৭,৮১,উফশি এসএল-৮এইচ,হীরা-৪,১৯ ও মিতালী-৪ জাতের বোরো চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।এছাড়া ধান রোপন ও কর্তনের জন্য এবছর কৃষকদের মাঝে ৪টি কম্বাইন্ড হারভেষ্ট ও ২৪টি রিপার মেশিন ভূর্তুকীর মাধ্যমে বিতরন করা হয়েছে।এতে কিছুটা হলেও কৃষকের ্উৎপাদন খরচ কমবে।