ডুমুরিয়ায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে ঋণ বিতরণে অনিয়ম!

0
287

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ঋণের টাকা গ্রহণ না করেও ঋণ খেলাপী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে লাল নোটিশ পেয়েছে হতদরিদ্র ৫ পরিবার। এ নিয়ে খাওয়া-ঘুম হারাম করে বার বার অফিসে ধর্ণা ধরে আসছেন ভুক্তভোগি পরিবারের ওই সদস্যরা। তবে ঋণের টাকা না নিলেও তাদের নামে অর্ধলক্ষ টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে এমনটি উল্লেখ করে প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী বলছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামা হয়েছে।
উপজেলা একটি বাড়ি একটি খামার অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় অতিদরিদ্রদের আত্ম নির্ভরশীলতার লক্ষে ১৬হাজার ৫শত ৪৫জন সদস্য নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে প্রকল্পটি। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকায় গ্রাম উন্নয়ন সমিতি নামক ৬০ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমিতি গঠন করা হয়। ওই সমিতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মাঠ-সহকারী তপু মন্ডল। সমিতির নীতিমালা অনুযায়ী ম্যানেজার শেখ মনিরুল ইসলাম ও সভাপতি বিকাশ মন্ডলের সহায়তায় সদস্যরা সঞ্চয়-ঋণ আদান-প্রদান করতে থাকে। এমতবস্থায় ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারী ওই সমিতির সদস্য আঃ মজিদ খান, যার বই নং-৫৬, রেক্সনা বেগম, বই নং-২৭, হানেফ শেখ, আঃ রাজ্জাক শেখসহ ৫ সদস্যর অজান্তে তাদের নামে ১০হাজার টাকা হারে মোট ৫০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর ঋণ খেলাপী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তাদের টাকা পরিশোধ করতে নোটিশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। এটি কি ভাবে সম্ভব দাবি করে ভুক্তভোগি ওই সদস্যরা বলেন তারা কখনো ঋণের টাকা গ্রহণ করেননি। এ দিকে অফিসের চাপে খাওয়া-ঘুম হারাম করে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তা থেকে পরিত্রান পেতে বার বার অফিসে এসে তাদের ধর্ণা দিতে হচ্ছে। তাদের নামে ঋন উত্তোলন করা হয়েছে কিন্ত টাকাটা তারা পাননি,এমনটি উল্লেখ করে মাঠ সহকারি তপু মন্ডল বলেন বিষয়টি আমি এক বছর পরে টের পেয়েছি। এ টাকা কোথায় গিয়েছে সেটিও টের পেয়েছি, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো আদায় হয়ে যাবে। ঋণ গ্রহণকারী জানেনা,অথচ গ্রহীতার স্বাক্ষর জাল করে কে বা কাহারা টাকাগুলি উত্তোলন করল এবং ্এটা কিভাবে সম্ভব ? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা সমন্বয়কারি কনক চন্দ্র অধিকারী বলেন, আমার আমলে এমন ঘটনা ঘটেনি, তবে তদন্ত পূর্বক টাকা আদায়সহ দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাঠে নামা হয়েছে।