ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় ব্যাংকিং সেক্টর আজ মানুষের হাতের মুঠোয়

0
315

খবর বিজ্ঞপ্তি
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাংকিং প্রোডাক্ট ও সেবা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড খুলনা জোনের উদ্যোগে শনিবার নগরীর শিববাড়ি মোড়স্থ পাবলিক হল (জিয়া হল) চত্ত্বরে দিনব্যাপী ডিজিটাল ব্যাংকিং মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড এর অংশগ্রহণে সকাল ১০টায় দিনব্যাপী ডিজিটাল ব্যাংকিং মেলার উদ্বোধন করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু নাসের মো. নাজমুল বারী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জজ কোর্টের এপিপি এম এম সাজ্জাদ আলী, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইসলামী ব্যাংকের খুলনা জোনের প্রধান মো. আব্দুস সালাম।
এসময় ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন, খান মো. আবু সাঈদ, আশরাফ আলী মুনীর, এস এম জিয়াউল করিম, একরাম এলাহী-সহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ব্যাংকিং সেক্টরেও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টর আজ মানুষের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছেছে। জনগণকে ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারণা দিতেই একযোগে দেশের ২০টি স্থানে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় হিসাব খোলা ও এডিসি প্রোডাক্টের রেজিস্ট্রেশনকারীদের লটারীর মাধ্যমে ২৫ জনের মাঝে স্মার্টফোন বিতরণ করা হয়। বিকেল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
দিনব্যাপী এ মেলায় ব্যাংকের এডিসি প্রোডাক্ট প্রদর্শনী ও ব্যবহারের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকের নতুন অ্যাপ ‘সেলফিন’ এর নতুন একাউন্ট খোলাসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। সেলফিনের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে মুহুর্তের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবে গ্রাহকরা। মেলায় ছিল সার্বক্ষণিক ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন, আইটি কর্ণার, ফ্যাশন কর্ণার, দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন স্টোর দারাজ এর স্টল, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী, ফুড কর্ণার। রাত ৮টায় মেলা সমাপ্ত হয়।