টুঙ্গিপাড়ায় ফ্রি স্বাস্থসেবা পেল প্রবীনরা

0
316

টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রবীণ ও বৃদ্ধ মহিলাদের ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গোপালগঞ্জের পাচটি উপজেলায় এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. তরুন মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইলিয়াছুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া ইউএনও নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুষেন সেন সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ইউনিয়নে অস্থায়ী স্বাস্থ্যক্যাম্প স্থাপন করে সেখানে অনুসন্ধান, ডাক্তার, প্রেসক্রিপশন, ঔষুধ বিতরণ ও ডায়াগনেসিস বুথ বসানো হয়। সকাল থেকে প্রবীণ নারী, পুরুষ ক্যাম্পে এসে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে বুধ ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য সেবা, প্রেসক্রিপশন ও ঔষুধ গ্রহন করেন। দিনব্যাপী ৪৫ উর্ধ প্রবীণদের এসব ক্যাম্প থেকে ওজন, প্রেসার পরিমাপ, ব্লাড সুগার পরীক্ষা, অর্থপেটিক, গাইনী, স্কিন, চক্ষু চেকআপ শেষে প্রেসক্রিপসন ও ঔষুধ প্রদান করা হয় ও সেবা গ্রহনকারীদের হেলথ কার্ড দেয়া হয়। যাতে পরে তারা নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে বিনামূল্যে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন।
গোপালপুর গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক নন্দ লাল বিশ্বাস (৫৮) বলেন, এক ছাতার নীচে সব সেবা পেয়েছি। ডাক্তার দেখিয়েছি। বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছি। তারপর প্রেসক্রিপসন ও ঔষুধ পেয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ উদ্যোগ গ্রহন করায় আমরা খুবই খুশি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্নার শান্তি কামনা করছি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীঘায়ূ ও সাফল্য কামনা করছি।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের জন্য ভাবতেন। তাই তাঁর জম্ম শতবার্ষিকীকে সামনের রেখে আমরা স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রবীণদের প্রত্যাশা সম্পর্কে জানাযাবে। প্রবীণদের প্রতি আমরা একটু কম খেয়াল করি। এ কারণে সিনিয়র সিটিজেনদের কেয়ার ডোর স্টেপ সার্ভিস শুরু করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। এখান থেকে তাদের হেলথ কার্ড দেয়া হবে। এ কার্ড নিয়ে নিকটস্থ হাসপাতাল থেকে তারা ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করতে পারবেন। এতে করে প্রবীণদের স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।