টুঙ্গিপাড়ায় নদীর ভাঙনে দিশেহারা ৩০টি পরিবার

0
386

সজল সরকার টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ//

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নারায়ণখালী গ্রামের ৩০টি পরিবারের ফসলি জমি, গাছপালা ও ঘরবাড়ি শৈলদাহ নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক মাসের নদী ভাঙনের দৃশ্য গ্রামবাসীর মাঝে এখন ভয় ও আতঙ্ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টুঙ্গিপাড়ার শৈলদাহ নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। অনেকে নিজেদের বসত ভিটা সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র। অনেকেই আবার সহায় সম্বল হারিয়ে ঠায় নিয়েছে পরের বাড়িতে। ফলে তারা অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন । তার মতো অবস্থা একই গ্রামের আরো ৩০টি পরিবারের।

নদী ভাঙনে শুধু ফসলি জমি ও ঘরবাড়িই নয়, হুমকীর মুখে রয়েছে ওই গ্রামের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা বেঁড়িবাধটিও। যে কোন মূহূর্তে সড়কটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সড়কটি ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

ক্ষতিগ্রস্থ সঞ্জয় ঢালী, পরিতোষ ঢালী, চম্পা ঢালী ও ননী গোপাল এ প্রতিবেদককে জানান, আর আতঙ্কের মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিনিয়ন আমরা নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছি। কোনভাবে দিন-রাত পার করছি। চিন্তায় থাকি কখন শেষ সম্বল জমিটুকু। এছাড়া নদী ভাঙন রোধ আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাতে আমাদের কোন লাভ হয়নি। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে ব্যাবস্থা না নিলে গ্রামের অস্তিত্যই বিলিন হয়ে যাবে এবং একই সাথে চলাচলের একমাত্র বেঁড়িবাধ সড়কটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সুখেন রায় বলেন, ভাঙ্গনের ব্যাপারে আমি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানাই। তারা দ্রুত ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার  বলেন, নদী ভাঙন রোধে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।