টঙ্গীতে ধর্ষণের পর গার্মেন্টকর্ম লিমাকে হত্যার অভিযোগ

0
945

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস:
বাগেরহাটের শরণখোলার বানিয়াখালী গ্রামের মেয়ে গার্মেন্টকর্মী রিমা ওরফে লিমা আক্তার (২০) কে টঙ্গীর দক্ষিণ খায়েরটেক মহল্লার বাড়ির মালিক প্রভাবশালী খোরশেদ আলম ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। ৯ আগস্ট রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে লিমার পিতা ইউসুফ আলী হাওলাদার মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে নিহত লিমার পিতা ইউসুফ আলী বলেন, গার্মেন্টকর্মী তার মেয়ে লিমা টঙ্গীর তুরাগ থানার দক্ষিণ খায়েরটেক মহল্লায় খোরশেদ আলম বাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকতো । বাড়ির মালিকের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে লিমার ওপর। তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এসব কথা আগেই থেকেই মা-বাবাকে জানিয়েছে লিমা। ঘটনার দিন ৯ আগষ্ট রাতে খোরশেদ আলম লোকজন নিয়ে তার মেয়েকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরেরদিন সকালে তুরাগ থানার দারোগা নির্মল বাবুকে ম্যানেজ করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালায়। সে অনুযায়ী পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তে পাঠায় এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে। ১১ আগস্ট লাশ শরণখোলায় গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। অপমৃত্যু মামলায় মেয়ের মা মাসুমা বেগমের স্বাক্ষর পুলিশের ওই দারোগা নিজে দিয়ে মামলাটি রেকর্ড করে। পরবর্তীতে কয়েকবার তুরাগ থানায় র্ধষনের পর হত্যার অভিযোগ নিয়ে গেলে দারোগ নির্মল মেয়ের মা-বাবাকে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
লিমার মা মাসুমা বেগম জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে এরকম কোনো কারণ ছিলনা। পুলিশ জানিয়েছে সে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গলাায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেয়ের সাথে মোবাইলে কয়েকবার কথা হয় তার। পরেরদিন সকালে থানা থেকে মৃত্যুর খবর জাননো হয়। ওইদিন দুপুর ২টায় তুরাগ থানায় গেলে দারোগা নির্মল তার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে জিডির কপিতে যে স্বাক্ষর সেটা তার না বলে দাবি করেন মাসুমা বেগম। তার মেয়েকে বাড়ির মালিক ধর্ষনের পর হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মল চন্দ্র দেব মুঠোফোনে (০১৭১৪৫৫৫৭৩৩) বলেন, মেয়েটিকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। রিপোর্ট আসতে দুই-তিন মাস সময় লাগে। রিপোর্টে যা আসবে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়ের পরিবারের কারো সাথেই দুর্ব্যবহার করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।