স্বামীর পরকীয়া নির্যাতন ও যৌতুকে নিস্ব গৃহবধু রশণী সরকার

0
347

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার সোনাডাঙ্গার গৃহবধু রশনী সরকারের কাছ থেকে তার স্মামী বরুন বিশ^াস দফায় দফায় বিভিন্ন অযুহাতে ২৫ লক্ষাধীক টাকা যৌতুক আদায় করে। শুধু যৌতুক ই নয় একই সাথে চলে শারিরিক নির্যাতন ও মেয়েদের নিয়ে ফ’র্তি।
সুত্রমতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ মে মোরেলগঞ্জের তেলিগাতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বরুন বিশ^াসের সাথে বিয়ে হয় । বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি চাকুরি ছেড়ে পালিয়ে আসে বাগেরহাটে। এখানে এসে বিনা বেতনে যদুনাথ ইন্সটিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন। রশ্নি সরকারের পেটে অপারেশনের অযুহাত দেখিয়ে শশুর সুনীল সরকারের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন এবং দেড় শতাধীক বরযাত্রী নিয়ে আসেন। এ সময় বিয়ের খরচ বাবদ শশুর সুনীল সরকার বরুন বিশ^াসকে ১ লক্ষ টাকা দেয়। বিয়ের পরে বৌভাতের জন্য দুই লক্ষ টাকা নিলেও বৌ ভাতের আয়োজন করেন নি তিনি। এরপরে বরুন বিশ^াসের বাবার বন্দক দেয়া জমি ছাড়ানোর জন্য কয়েক ধাপে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।
রশ্নি সরকার জানায় , বরুন বিশ^াস তার স্কুলে বেতন চালু করার জন্য ৫০ হাজার চাকা লাগবে বলে রশ্নি সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বান্ধবি জয়ন্তিকে(নূপুর) নিয়ে লং ড্রাইভে যায়। কিছু বললেই আমাকে মারধর করতো। বেতনের কথা বলে ফের দুই দফায় ২০ হাজার ও ৭০ হাজার টাকা নেয়। এবারের টাকা নিয়েও তিনি মেয়েদের নিয়ে ফূর্তি করেন। ৭০ হাজার টাকা নেয়ার পরে বরুন অনেক দিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। ফলে বরুন বিশ^াসকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। এ সময় রশ্নি সরকার লোকজন নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় চক্রবর্তীর পা জড়িয়ে ধরলে শর্ত সাপেক্ষে চাকরিটি রক্ষা পায়।এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় চক্রবর্তী বরুন বিশ^াসের মেয়েদের নিয়ে নোংরামির কথাও জানায়। ফের বেতনের কথা বলে রশ্নী সরকারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ এবং ৬ মাস পরে ফুলবাড়িগেট বিএড ট্রেনিং বাবদ ২ লক্ষ টাকা নেয়। ২০০৯ সালে বিএড শেষ করে খুলনা থেকে বাগেরহাটে এসে রশ্নী সরকারের মামা ডাঃ তপন রায়ের শালী মিঠুন রায়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে রশ্নি সরকার মামা ডাঃ তপন রায়ের সহযোগিতা চাইলে তিনি উল্টো তাকে পাত্তা না দিয়ে শালি ও বরুন দাসকে সহযোগিতা করেন পরকীয়ায়। এরপর থেকেই নির্যাতনের হার বাড়তে থাকে রশ্নি সরকারের উপর। এ সময়ে তার অলংকার সমুহ বন্ধক রেখে তা আর ফেরত আনে নি দোকানদারের কাছ থেকে।
ভূক্তভোগি রশণী সরকার দিশেহার হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর নাঃশিঃ ২০০/১৪। সংসারের আশায় ইচ্ছের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বাধ্য হয় তিনি। ফের ২০১৭ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। একটি নারী শিশু ও অপরটি যৌতুক। যার নম্বর যথাক্রমে সোনাডাঙ্গা সি আর ১৫৮/১৭ এবং নারী শিশু ৮০/১৮। যৌতুক মামলাটি খারিজ হয়ে গেলেও নারী শিশু মামলাটি চলমান রয়েছে।
নারী শিশু মামলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল খুলনা আদালতে করলে, বিজ্ঞ আদালত হতে থানায় এজাহার হিসাবে গ্রহনের আদেশ হয়। আদালতের আদেশে খুলনা থানায় মামলা নং ১৮, তারিখ ৭/৫/১৭ তাং রেকর্ড হয়, ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশীট দাখিল করে, যার বর্তমান মামলা নং নাঃশিশু ৮০/১৮।যেটি তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভিতি দেয়া হচ্ছে।