গিলাতলায় রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ : কেডিএ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা

0
239

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি:
নগরীর গিলাতলা কেডিএ আবাসিক এলাকার রাস্তার উত্তর পাশে^ মূল সড়কের ওপর ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়। আবাসিক এলাকার পরিচ্ছন্নকর্মীরা ভ্যানে করে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা নিয়ে নির্ধারিত ডাষ্টবিনে ফেলছে কিন্তু ডাষ্টবিনের উক্ত ময়লা অপসরনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জমতে জমতে সেটা রাস্তার ওপর চলে যাচ্ছে। কয়েকজন টোকাই পচা ময়লার স্তুপ থেকে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি কুড়িয়ে নেয়ায় যেমন দূর্গন্ধ ছড়ায় তেমনি ময়লা গুলো রাস্তার উপর চলে আসছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক পরিবেশ এবং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। পথচারীদের দেখা যায়, নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে। কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই ময়লার ডাষ্টবিনের পাশে আবাসিক এলাকার বসবাসরত বাসিন্দা, এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। গিলাতলা আবাসিক এলাকার গৃহিণী টুম্পা বেগম বলেন, রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়, ডাষ্টবিনের ময়লা অপসরণ করা হয় না। এ জন্য আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গিলাতলা হাই স্কুলের শিক্ষার্থী কামরুল বলেন, বাসা থেকে স্কুলে যাওয়া-আসা করার সময় ডাষ্টবিনের মোড় পৌঁছলে ময়লার দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। কোনো রকমে নাক-মুখ চেপে ধরে ময়লার স্তুপ পার হতে হয়। এসব পচা ময়লা আবর্জনার গন্ধের জন্য অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছে। শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গিলাতলা আবাসিকের বিভিন্ন বাসা বাড়ির ময়লা ২ জন পরিছন্নকর্মি ভ্যান যোগে নিয়ে এসে ডাষ্টবিনে ফেলছে। এ সময় পরিছন্ন কর্মি জামাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের কাজ বাসা থেকে ময়লা এনে এখানে ফেলে যাওয়া। আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার খোরশেদ মিয়া বলেন নিয়মিত ময়লা ডাষ্টবিন থেকে সরানোর উদ্যোগ নিতে হবে, ময়লার গন্ধে এখানে বসবাস করার মত পরিবেশ নেই। তা ছাড়া পচা গন্ধে এখানকার পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে। বছরের পর বছর এই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু কেডিএ বা স্থানিয় জনপ্রতিনিধির কোন নজরদারি নাই। এলাকাবাসির দাবী নিয়মিত ডাষ্টবিন থেকে ময়লা অপরসরণ করে এলাকার দুষণমুক্ত রাখতে কেডিএ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।