খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেটে মরণ ফাঁদ

0
456

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকায় ওয়াসার পাইপ লাইনের কাজে রাস্তা খুড়াখুড়ি করে দীর্ঘদিন যাবত ফেলে রাখায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। একের পর এক দূর্ঘটনার স্বিকার হচ্ছে যানবাহন ও পথচারী। এমন ঘটনায় প্রায়ই দেখাাযায় আহত হয়ে কোন না কোন যাত্রী অথবা পথচারীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে। সবচেয়ে বেশি দূর্ঘটনার স্বিকার হচ্ছে মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, ভ্যান-রিক্রা সহ ছোট যানবাহন গুলো। মাসের পর মাস এভাবে চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকায় সম্পুন্ন ভালোভালো রাস্তা খুড়া-খুড়ি করে বসানো হয়েছে ওয়াসার পানির পাইপ। খুড়াখুড়ি রাস্তার উপর ইটের খোয়া-বালু ফেলে রোলার করে ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু সম্পুর্ণ বেতিক্রম দেখাগেছে খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকায়। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির পাইপ লাইনের কাজ করে মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট বাসস্টান্ড থেকে মীরেরডাঙ্গা আলিম ইসলামীয়া মাদ্রাসার সামনে পর্যন্ত অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ণ সড়কের প্রায় ৪/৫শত মিটার রাস্তার প্রায় অর্ধেক জুড়ে খুড়ে কোন রকম খোয়া বালু দিয়ে মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে। যার ফলে মহাসড়কের প্রস্তু যেমনি কমে গেছে তেমনি ৫ ইঞ্চি থেকে ১ফিট পর্যন্ত অসংখ্য বড়বড় গর্তে পরিনত হয়ে প্রতিনিয়ত ছোট খাটো দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এখানে দিনে ও রাতের অন্ধকারে ভ্যান.রিক্রা, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র সহবিভিন্ন যানবাহন উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে যাত্রীরা। গত ১ মাসে এমন ১০/১৫টি দূর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধীক যাত্রী আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন প্রত্যাক্ষদর্শী এবং পার্শবর্তি দোকানদার। একের পর এক দূর্ঘটনায় ফুলবাড়ীগেটের এই মহাসড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে জনতা মার্কেট এবং আলিয়া মাদ্রাসার সামনে চার রাস্তার মোড়ে সম্পুন্ন রাস্তা জুড়েই বড়-বড় গর্তে পরিনত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। খুড়াখুড়ির দীর্ঘ প্রায় ৬/৭ মাস অতিবাহিত হলেও সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। এ ব্যাপারে এই কাজের দায়িত্বে থাকা খুলনা ওয়াসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম আহম্মেদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, রুপসা থেকে ফুলবাড়ীগেট পর্যন্ত কোথও গর্ত হলে গত দু’বছর সঙ্গে সঙ্গে রিপারিং করা হয়েছে। দু’একটি জায়গায় সমস্যা থাকতে পারে স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলে ঐ এলাকার সড়কের এমন অবস্থা তা আমার জানা ছিলোনা। তিনি আরো বলেন ঐ এলাকার দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে বলছি। গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কের অংশে ফুলবাড়ীগেট আলিয়া মাদ্রাসা, কেডিএ খানজাহান আলী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আইআরআই এর লিংক রোর্ড যুক্ত রয়েছে এছাড়া ব্যাস্ততম বাজার এলাকা হওয়ায় এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে মহাসড়কের এই স্থানটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।