শরণখোলায় ক্ষুরারোগে পাঁচশতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ

0
381

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলায় গরুর ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ বিভাগ কার্যক্রম শুরু করেছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৬টি ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারী টিম গঠন করে নিবিড় সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুরারোগে গবাধি পশুর ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এর প্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছয় সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল শরণখোলা পরিদর্শন করেছে।
পরিদর্শনকারী কর্মকর্তারা হলেন কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান ও গবেষনাগারের উপ-পরিচালক ডা. বশীর আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রাণিসম্পদ গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ঊষা জামান, খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক কল্যাণ কুমার ফৌজদার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুজ্জামান খান ও পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে পর্যাপ্ত টিকা ও চিকিৎসা সামগ্রী সরকারহ করা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে জনসচেতনতামূলক সভা, উঠান বৈঠক, টিকা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। এর ফলে রোগের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ জানান, অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় ক্ষুরা রোগ অকেটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। খামারী ও গৃহস্থের মাঝে ৫০০০ মাত্রার টিকা ও চিকিৎসা সামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলায় তিন জন ভেটেরিনারী সার্জন সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদান ও তদারকি করছেন।
সম্প্রতি শরণখোলায় ব্যাপক হারে ক্ষুরারোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এ রোগে ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচশতাধিক গবাধিপশুর মৃত্যু হয়। ক্ষুরারোগের টিকা ও চিকিৎসা সামগ্রী সংকট থাকায় সময়মতো সঠিক চিকিৎসার অভাবে এসব গবাধিপশু মারা যায়। #