খুলনা বিএনপি’র সংবাদের নিন্দা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের

0
557

খুলনার স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলিতে প্রকাশিত নগর বিএনপি সভার সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের দেয়া বিবৃতি সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যা দেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা শিশু ফাউ-েশন কারোর একক প্রচেষ্টায় আজকের স্থানে আসেনি। খুলনা মানুষ এবং বিদেশীদের সাহায্যে এ প্রতিষ্ঠানটি পদ্মার এ পাড়ে শিশু সেবার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়ে শিশু ফাউ-েশন নিয়ে এখন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
“শিশু ফাউ-েশন প্রতিষ্ঠার পেছনে ব্যক্তিবর্গ, অর্থ সহায়তা প্রদানকারী দানবীর ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এবং তার সরকারের সময়ে সুদীর্ঘ ২৫ বছরে তিল তিল করে প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার সম্পূর্ণ কৃতিত্বের দাবিদার।” যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং অন্যদেরকে ছোট করে দেখার সামিল।
এ ধরনের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান সকলের সহযোগিতায়ই গড়ে উঠে। সেখানে কারো বেশী কারো কম অবদান থাকে। বিএনপি’র নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন হাসপাতালের এসি নিয়ে নিজের বাড়িতে স্থাপন করে নিজে এবং পরিবারকে শীতল করেছেন। ওই সকল নেতার মুখে রামনাম ভালো মানায় না। আর আমরা সেটি বলতে চাই না।
তবে সত্যটুকু বলতেই হবে, সেটি হচ্ছে-বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর হতে হাসপাতালে ভবন নির্মান, সেন্ট্রাল অক্সিজেন পদ্ধতি চালু, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন, ব্লাড ট্রান্সফার মেশিন স্থাপন, ইউকিউবেটর স্থাপন, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, দশতলা ভবনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ অসংখ্য উন্নয়ন করা হয়েছে।
যা বিএনপি কখনও ভাবতেও পারেনি। অথচ তারা একমাত্র দাবিদার হিসেবে পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ করান। প্রকৃত পক্ষে বিএনপি’র জন্মই হয়েছে মিথ্যাচার দিয়ে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নিবাচন চলাকালীন দুর্বৃত্তদের হামলা হয়েছে যা নিন্দনীয়। কে বা কারা করেছে সেটি প্রশাসন তদন্ত করে বের করবে।
বিএনপি’র নেতারাই ভালো করে জানেন যে, কারা মাদক ব্যবসায়ী আর সন্ত্রাসী। কারণ তাদের দলের ক্যাডারই এ ধরণের কাজ করে থাকে। নেতৃবৃন্দ মনে করেন যে, শিশু ফাউ-েশনের নির্বাচনে হামলা বিএনপি’র ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। তাদের ষড়যন্ত্রের কারনেই দুর্বৃত্তরা নির্বাচনে হামলা করেছে। আর বিএনপি আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষ আহবান জানানো হয়ে।
বিবৃতি দাতারা হলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি, সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এমডিএ বাবুল রানা, নুর ইসলাম বন্দ, জেড এ মাহমুদ ডন, ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, আলী আকবর টিপু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্রনাথ ঘোষ, মফিদুল ইসলাম টুটুল, হাফেজ মো. শামীমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি