ইয়াছিন আরাফাত/তন্ময় রায়:
ঝাঁকে ঝাঁকে খুলনা মহানগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ক্ষণে ক্ষণে টহল দিচ্ছে। অলি-গলি, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক এবং মহাসড়গুলোতে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের শো-ডাউন এর চিত্র সরেজমিনে দেখা গেছে। মূলত: এসব চিত্র নগরীতে পুলিশের জোরালো অবস্থানের জানান দিচ্ছে। এরমধ্যে অহেতুক ঘোরাফেরা ও দুজন মোটরসাইকেলে চড়ায় প্রশাসনের সহায়তায় জরিমানা করা হচ্ছে। আর জনসচেতনতায় চলছে মাইকিং।
দৌলতপুর থানা পুলিশ কর্তৃক জনসাধারণ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে মোটরসাইকেলে মহড়া দিতে গেছে। অনুরূপ কারণে খুলনা সদর থানা পুলিশ মোটরসাইকেলে মহড়া দেয়। করোনা বিস্তার রোধে কেএমপি’র নানান কার্যক্রমে মধ্যে শনিবার করোনা বিস্তার রোধে কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গল্লামারি মোড়ের চেকপোস্ট, খুলনা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক জেলখানা ফেরীঘাট চেকপোস্ট, দৌলতপুর থানা পুলিশ কর্তৃক সেফ এ্যান্ড সেভের সামনে চেকপোষ্ট এবং খানজাহান আলী থানা পুলিশ কর্তৃক শিরোমনি বাজারে চেকপোস্ট কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া খানজাহান আলী থানা পুলিশ শিরোমনি বাজারে টিসিবি কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি বিতরণকালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার চিত্র মিলেছে। অনুরূপভাবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় ছিল খুলনা সদর থানা পুলিশ নগরীর ময়লাপোতা মোড় ও রূপসা নতুন বাজারে টিসিবি’র মালামাল সামগ্রী বিতরণকালে। খালিশপুর থানা পুলিশ কর্তৃক বৈকালি মোড়ে চেকপোস্ট কার্যক্রম চলেছে।
করোনা ভাইরাস বিস্তার সংক্রান্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাতে বৃদ্ধি করতে না পারে সে বিষয়ে কেএমপি’র ডিবি পুলিশ কর্তৃক “বাজার মনিটরিং” কার্যক্রমও চলে। হরিণটানা থানা পুলিশ কর্তৃক নগরীতে অননুমোদিত যানবাহন এবং জনসাধারণের আগমন ও প্রস্থান রোধে নগরীর প্রবেশদ্বার মোস্তফার মোড় ও কৈয়া বাজারে চেকপোষ্ট কার্যক্রম জোরদারের চিত্র মিলেছে রয়েছে। একই চিত্র মিলেছে খালিশপুর থানা পুলিশ কর্তৃক কদমতলা মোড় ও পথের বাজারে চেকপোষ্টে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু খুলনাটাইমসকে বলেন, করোনা ভাইরাস বিস্তার সংক্রান্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরুত্বসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জরিমানা করা হচ্ছে।