খুলনায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তিন ধর্ষক গ্রেফতার

0
673

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আলিম সিটি গেট রেললাইন এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী গণধর্ষণের প্রধান আসামী সাগরসহ সকল আসামীকে শ্বাসরুদ্ধকর সফল অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পরই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান সনাক্ত করে ঢাকার বাড্ডা কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে। আসামীরা হলেন খানজাহান আলী থানার আটরা এলাকার মৃত আমজাদ শিকদারের ছেলে মো. সাগর আলী (২৬), মসিয়ালী এলাকার মৃত রেনু মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল (৩০) ও মসিয়ালী ১নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত টোকন আলীর ছেলে মো. শফিক (২৬)।
আটকৃতদেরকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খানজাহান আলী থানায় আনা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে। আজ শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি গ্রহণ করা হবে। আটককৃত সাগর পেশায় একজন দিনমজুর, বেল্লাল ঢাকার গণপরিবহনের একজন চালক এবং শফিক পেশায় দিন মজুর।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) সরদার রকিবুল ইসলামের নিবিড় তত্ত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনায় খানজাহান আলী থানা পুলিশের একটি টিম বিভিন্ন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তিন ধর্ষককে ঢাকার বাড্ডার কুড়িল বিশ্বরোড পোস্ট অফিস গলি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
খানজাহান আলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, আসামীরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি রেকর্ড করা হবে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি গ্রেফতারকৃত তিন বন্ধু ওই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে কৌশলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে তার ভাবীর বাড়ি ফুলতলা উপজেলার দামোদরে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুরের খাবারের পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সন্ধ্যার দিকে আলিম সিটিগেট রেললাইন মিজানের পরিত্যক্ত ভনের ছাদে নিয়ে গণধর্ষণ করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২৮ জানুয়ারি খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২১ তাং -২৯/০১/১৯ইং।