খুলনায় তৃতীয় দিনেও চলেনি বাস

0
238

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার অভ্যন্তরীণ সড়কপথে গতকাল বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচলের কথা থাকলেও চলছে না। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর শ্রমিকনেতারা বুধবার সকাল থেকে খুলনার অভ্যন্তরীণ সড়কপথে বাস চালানোর কথা জানালেও সে প্রতিশ্রুতি তারা রাখেননি। ফলে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকালে বাস ছাড়বে এমন খবরে সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রয়েল ও শিববাড়ীর মোড়ে শত শত যাত্রী দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশে আসে। বাস না ছাড়ায় যাত্রা ভঙ্গ হয় তাদের। অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে।
গত সোমবার থেকে খুলনার সব সড়কপথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক ও মালিকেরা। নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত তাদের ওই কর্মবিরতি চলার কথা।
পরিবহন ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সড়কপথে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে। খুলনা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনা শেষে মধ্যস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
বৈঠকের পরে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, নতুন সড়ক আইনের কিছু ধারায় মালিক ও চালকদের কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ কারণে চালক ও মালিকেরা ভয়ে গাড়ি বের করছেন না। তবে বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী কয়েক দিন নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে কিছুটা শিথিল করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তাই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চালক ও মালিকদের গাড়ি চালানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। যেহেতু সিদ্ধান্ত নিতে নিতে দুপুর হয়ে গেছে, তাই মঙ্গলবার আর নয়, বুধবার থেকে চালকেরা গাড়ি চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও কেন বাস চলছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, চালকরা কেউ গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না। সকাল সাড়ে ছয়টায় সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে চালকদের গাড়ি চালাতে অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে রাজি হচ্ছেন না। চালকরা বলছেন, দুর্ঘটনা ঘটলে সব জরিমানা আপনি দেবেন এমন লিখিণ দিলে আমরা গাড়ি চালাব।
এদিকে খুলনা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস না ছাড়লেও রূপসা-মোংলা, রূপসা-বাগেরহাটসহ বেশ কিছু রুটে বাস চলাচল করছে। তবে যেসব রুটে বাস চলছে না সেই রুটের যাত্রীরা পড়েছে দুর্ভোগে। এই সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহেন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েক গুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব যানে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে।