খুলনার ৭টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে ঘিরে ‘অস্থিরতা’

0
720

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনায় এবার ৭টি ইউনিয়নের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগ ও কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গতকাল বুধবার কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ও বহাল বিষয়ে পৃথক বিবৃতিতে এ অস্থিরতার চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে করে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বুধবার রাতে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে উপজেলার অন্তর্গত ৭টি ইউনিয়নের মেয়াদউত্তীর্ণ এবং কার্যক্রম না থাকায় সকল কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একই সাথে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্য পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।’
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় কোন কারণ ছাড়া ৭টি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এমতাবস্থায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেই মর্মে আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতরে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো। অন্যথায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, একই সাথে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন ৭ ইউনিয়ন কমিটি পুনর্বহাল করা হলো।’
এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘উপজেলা কমিটি ইতোমধ্যে ৪ মাস অতিবাহিত করেছে। এরমধ্যে অনেক কর্মসূচি পালন করলেও ওই ৭টি ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি। তাছাড়া তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। আর এদের অধিকাংশই বিবাহিত, তাই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। আমরা জেলা ছাত্রলীগকেও সে বিষয়ে জানাবো।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তদন্তাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। আমরা তাদের শোকজ করে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছি। এর মধ্যে সদুত্তর দিতে না পারলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’