খুবির শিক্ষকদের বরখাস্ত ও অপসারণ প্রত্যাহারের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

0
115

খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল ফজল ও প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীর অপসারণ আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে খুলনার নাগরিক সমাজ-এর পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি রেজিস্ট্রারের নিকট অর্পণ করেন এবং পাশাপাশি ডাকযোগে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ প্রেরণ করা হয়। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধা, শিক্ষা খরচ কমানোসহ কয়েকটি দাবী কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে। ছাত্রদের এ দাবির সাথে সহমত পোষণ করেন উল্লিখিত শিক্ষকগণ, এ অজুহাতে দু’জন ছাত্রসহ উল্লিখিত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুদÐ প্রদান করে। ঘটনাটি বিভিন্ন মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ছাত্রদের ক্ষমা করা হলেও উল্লিখিত শিক্ষকদের ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা কখনও চাইবো না শিক্ষক বা ছাত্ররা কোনো দলাদলী কিংবা আক্রোশের শিকার হোক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে এবং অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সাথে আলোচনায় জেনেছি সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য, এমনকি একজন ইউজিসি সদস্যের মতামতকেও উপেক্ষা করে এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আরও উল্লেখ্য, শিক্ষকদের আনীত অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত পরিচালনা করা হয়নি, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি, যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আমরা আরও জেনেছি, কয়েক বছর যাবত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নির্মাণে দুর্নীতি, নিয়োগ বোর্ডে দুর্নীতি তথা নারী প্রার্থীকে অনৈতিক হয়রাণি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপ্রীতিকর সংবাদ আমাদের আতঙ্কিত করেছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও অপসারণের ঘটনায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সচেতন মহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন এবং অন্যায় দÐ প্রত্যাহার করার জন্য পত্রপত্রিকায় বিবৃতিও প্রদান করেছেন। আমরা খুলনার নাগরিকবৃন্দও নাগরিক সভা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। খুলনার সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা পুনরায় অনুরোধ করবো, শিক্ষকদের প্রতি খুবি কর্তৃপক্ষ দÐাদেশ প্রত্যাহার করে নেবেন। উল্লেখ্য, মহামান্য হাইকোর্ট শিক্ষকদের একটি রীট পিটিশনে শিক্ষকদের পক্ষে স্থিতাবস্থা জারী করেছেন। সেটির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহŸান জানান। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেনÑপ্রাক্তন সংসদ সদস্য ও সংবিধান প্রণেতা এড. মোঃ এনায়েত আলী, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, খুলনা নাগরিক সমাজ-এর আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আ ফ ম মহসীন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি খুলনা জেলা আহŸায়ক এস এম শাহ নওয়াজ আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, গণশিল্পী সংস্থা খুলনার সভাপতি এড. মিনা মিজানুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এম এম মুজিবুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের বিভাগীয় সম্পাদক এড. কুদরত-ই-খুদা, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী প্রমুখ।