খালেদাকে কারাগারে হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোন নির্বাচন হবেনা : নজরুল ইসলাম মঞ্জু

0
525

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, ঘোষিত তফসিলে নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হলো হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় রাখা নিশ্চিত করা। জনগনকে সাথে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এই নির্বাচন প্রতিহত করবে এবং এক্ষেত্রে সদ্য প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের সাহস, অনমনীয়তা ও দৃঢ়তা আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস।
প্রগতিশীল ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পুরোধ পুরুষ, দক্ষিণবঙ্গের কৃতি সন্তান, বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কথা বলেছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে নগর বিএনপির উদ্যোগে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু মরহুম তরিকুল ইসলামকে অভিভাবক আখ্যায়িত করে বলেন, আপাদমস্তক রাজনীতিবীদ তরিকুল ইসলাম দুঃসময়ে স্থির মাথায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এবং তা বাস্তবায়ন করার অসামান্য গুণের অধিকারী ছিলেন। যে কারণে দেশনেত্রী বেগম জিয়াও অনেক সময় তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতেন। সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর অনেকেই বিএনপি ছেড়ে এরশাদ সরকারের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করলেন তরিকুল ইসলাম ছিলেন তার আদর্শে অবিচল। এ জন্য তাকে সামরিক সরকারের কঠিন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল এবং যে যন্ত্রণা তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে বেড়িয়েছেন। তিনি দক্ষ ছিলেন বলেই বিএনপি সরকারের সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাকে পালন করতে হয়েছিল।
দেশ ক্রান্তিকাল পার করছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এবং আবারও একটি এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার নীলনকশা তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার কিংবা মাঠ ছেড়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। গণগ্রেফতার চালিয়ে, বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে তান্ডব চালিয়ে, পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ হবেনা। এই শহরে এক-দেড় হাজার পুলিশের মোকাবেলায় ৫০ হাজার বিএনপির কর্মী জনগনকে সাথে নিয়ে রাজপথের দখলে থাকবে। আমাদের পিছু হঠার কোন সুযোগ নেই।
নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, এ্যাড. এস আর ফারুক, শফিকুল আলম তুহিন, শেখ সাদী ও একরামুল হক হেলাল। আলোচনা শেষে মরহুম তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ হাফিজুর রহমান। এ সময় নগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এস এম মোরশেদ আলমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রনায়ক নূর হোসেনের জন্য দোয়া করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বাবলু, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, জালু মিয়া, সাংবাদিক আবু তৈয়ব, এ্যাড. গোলাম মাওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, এহতেশামুল হক শাওন, মুর্শিদ কামাল, ইউসুফ হারুন মজনু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, ফারুক হিল্টন, মুজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, মীর কবির হোসেন, হাফিজুর রহমান মনি, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, সাঈদ হাসান লাভলু, জামিরুল ইসলাম, আফসারউদ্দিন মাস্টার, তরিকুল্লাহ খান, মাহবুব হোসেন, আবু সাঈদ শেখ, নাসির খান, সাইফুল ইসলাম, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, মাসুদ রানা ডাবলু, মোস্তফা কামাল, কাজী মাহমুদ আলী, শফিকুল ইসলাম শাহিন, মেহেদী হাসান সোহাগ, জি এম রফিকুল হাসান, মইদুল হক টুকু, ম শা আলম, ওলিয়ার রহমান ওলি, মনিরুল ইসলাম, ময়েজউদ্দিন চুন্নু, আনজিরা খাতুন, হেদায়েত হোসেন হেদু প্রমুখ।