কয়রায় পৃথক পৃথক সংঘর্ষে আহত-৬ স্থানীয় চেয়ারম্যানের ইন্দোনে এ ঘটনা-দাবী ভুক্তভোগীদের

0
239

কয়রা প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে স্বামী, স্ত্রী নারী শিশুসহ সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, আলি আহম্মদ (৪০), স্ত্রী শাহানারা (৩০), ষষ্ঠী গাঈন (৩৫), যশোধা গান (৩৮), পুত্র রিগান মন্ডল (১৫), বিপুল মন্ডল (৫০) ও সরজিৎ মন্ডল (৪০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গ্রামবাসী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ নভেম্বর বিকাল ৫টায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বাবুরাবাদ গ্রামের ইউনুস আলির নেতৃত্বে ৫/৭জন প্রতিবেশী আলি আহম্মদ ও তার স্ত্রীকে বেধরক মারধর করে। গুরুত্বর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরক করা হয়। আহত স্বামী স্ত্রী বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একই দিন সকাল ৭টায় বিধবাকে শালীনতা হানীর জের ধরে মহেশ্বরীপুরের কালিবাড়ী সিলের রাস্তার মোড়ে সঞ্জয়ের নেতৃত্বে ৭/৮জন প্রতিবেশী বিধবা ষষ্ঠী গাঈনের ওপর হামলা করে তাকে আহত করে। তার উদ্ধারে আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে এলে হামলাকরীরা তাদেরকেও মারধর করে। এসময় বিধবার ভাই বিপুল মন্ডল, ছেলে রিগান মন্ডলসহ ৪ জন আহত হয়। তাৎক্ষনিক তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
একই দিন সন্ধ্যায় ইউনিয়নটির গাংরাখি মোড়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হড্ডা গ্রামে সরজিৎ মন্ডলকে বেধরক মারধর করে একই গ্রামের অনুপ রায় ও বিধানের নেতৃত্বে ৫/৭ জন। তাৎক্ষনিক মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। পৃথক পৃথক এ সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়নটিতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৭ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় সরিজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী সরজিৎ মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় ইউপি চ্ছোরম্যানের ইন্দোনে তার লোকজন আমার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগী দাবি করেন।
একই দাবী করেছেন পৃথক ঘটনায় আহত ভুক্তভোগী বিধবার ভাই আহত বিপুল মন্ডল। তিনি জানান, চ্ছোরম্যানের ইন্দোনে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরও জানান, স্থানীয় চ্ছোরম্যানের লোকজন এলাকায় আমাদের মতো নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। চ্ছোরম্যানকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবী জানান।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বিকার করে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও মহেশ্বরীপুর ইউপি চ্ছোরম্যান বিজয় কুমার সরদার ৭ নভেম্বর বিকাল ৪ টা ১২ মিনিটে মুঠো ফোনে জানান। এ ব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন মুঠো ফোনে জানান, এব্যাপারে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।