নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা জেলা পিবিআই এর অভিযানে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পিবিআই এর মিডিয়া সেল সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ ফেব্রæয়ারী ২০২০, ভোর ৫ টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার সরাফপুর গ্রামের মোঃ আসলাম শেখের পুত্র হাসান মাহমুদ অভি (১৫) তার নানা বাড়ী হতে ইজিবাইক চালানোর উদ্দেশ্যে বাহির হয়। পরে তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসে নাই। এ ঘটনায় হরিণটানা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়।
গত ২ মার্চ ২০২০ সকাল ৯ টায় অভির মৃতদেহ দিঘলিয়া থানাধীন হাজীগ্রাম ইসরাইল ডাক্তারের বাড়ীর সামনে আত্রাই নদীর কিনারে পানির উপর হতে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ আসলাম শেখ এই হত্যাকান্ড ও ইজিবাইক ছিনতাইকল্পে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে, দিঘলিয়া থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০৩/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভ‚ক্ত হওয়ায়, পিবিআই খুলনা জেলা স্ব-উদ্যোগে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। খুলনা জেলা পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) একেএম মাহফুজুল হক মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি মামলার তদন্তভার গ্রহণ পূর্বক ঢাকা ডিআইজি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার) পিপিএম এর নির্দেশনায় এবং খুলনা জেলা পিবিআই ইউনিট প্রধান সৈয়দ মোশফিকুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ৩ জনকে আটক করেন। ধৃত আসামীরা হলেন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার নদমুল্লা গ্রামের আবুল হোসেন খলিফার পুত্র সোহাগ হোসেন (২২), খুলনার রূপসা থানার মিল্কি দেয়াড়ার মৃত করিম শেখের পুত্র হানিফ শেখ (২৬) ও হরিণটানা থানার হোগলাডাঙ্গার মৃত জালাল শেখের পুত্র মোঃ রায়হান (২২)। ২৫ আগস্ট আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামীদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ডেবরা গ্রাম থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে।
