ক্লান্তিকালে আলেম ওলামাদেরকেই দেশ পরিচালনায় ভুমিকা পালন করতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

0
776

শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনঃ

খুলনার জামিয়া রশীদিয়া গোয়ালখালী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আজ (৬ জানুয়ারী১৮) শনিবার সকাল ১০টায়  ওলামা ও সূধী সম্মেলন নগর সভাপতি ও কেসিসি মেয়র প্রার্থী মাওঃ মুজ্জাম্মিল হক এর সভাপতিত্বে এবং নগর  সহ সভাপতি শেখ মোঃনাসির উদ্দিন এর  পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
ওলামা ও সূধী সম্মেলনে প্রাধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সংগ্রামী আমীর মুফতী সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) ,প্রধান আলোচক  ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ,ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম রুহুল আমিন, দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মোস্তাক আহমাদ, পূর্ব বানিয়াখামার খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওঃ আব্দুল্লাহ, মাদানীনগর মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতী ইমদাদুল্লাহ কাছেমী, রায়েরমহল মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আছাদুল্লাহ, ফুলবাড়ীগেট এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতী গোলামুর রহমান, খালিশপুর বয়স্ক মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতী আবুল কাশেম, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ওলামা ও সূধী সম্মেলনে প্রাধান অতিথির বক্তব্যে বলেন   আজ দেশে ইসলামী আদর্শ নেই বলেই স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশ চোরের দিক থেকে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ-এর সাম্প্রতিক সময়ের একটি মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, মন্ত্রী নিজেই ঘুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ জন্য তিনি ঘুষকে সহনীয় মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ, ইসলামে সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতির কোন স্থান নাই। একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার মাধ্যমে দেশ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি দূর করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী সকল সিটি কর্পোরেশন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৩শ’ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।
তিনি বলেন দেশের এই ক্লান্তিকালে সকল আলেম ওলামাদেরকেই দেশ পরিচালনায় অগ্রানী ভুমিকা পালন করতে হবে, তিনি আগামী খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে সকল আলেম ওলামাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে ইসলামের পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনার আহবান জানান ৷
তিনি আরও বলেন আসামকে মুসলিমশুণ্য করার ভারতীয় চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আসামকে মুসলিমশুণ্য করার ভারতীয় চক্রান্ত রুখে দাড়াতে হবে। এ চক্রান্ত বন্ধ না করলে বাংলাদেশসহ বিশ্বমুসলিম আবারো প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যে ষড়যন্ত্র মূলক ১ কোটি ৯০ লাখ নাগরিকের তালিকা প্রকাশ ও মুজাফ্ফর নগরে বিজেপি নেতা বিক্রম সাইনির বক্তব্য ‘ভারত শুধু হিন্দুদের দেশ, যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করছেন ভারত শুধু তাদের’ এ ধরণের বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তিনি বলেন, ভারতবর্ষ স্বাধীনে মুসলমানদের অবদান সবচেয়ে বেশি। বিজেপি নেতার বক্তব্য প্রমাণ করে সে ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ। মুসলমানরাই ১ হাজার বছর ভারত শাসন করেছে এবং মুসলমানরাই ইংরেজদের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করেছিল। সেই মুসলমানরা ভারতের নাগরিক না এমন কথা পাগলের প্রলাপ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্ষমতার মোহে মত্ত হয়ে ভারত সরকার এখন মুসলমানদের অবদান অস্বীকার করছে। যা মেনে নেয়া যায় না। এসব পদক্ষেপ ও চিন্তা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, বিশ্বের সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রের উচিত জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি মাও: মোজাফ্ফার হোসাইন ও  জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীম,মাওলানা ইমরান হুসাইন, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো: গোলাম মোস্তফা সজিব মোল্লা, মাওঃ আসাদুল্লাহ্ হামিদী, আবু গালিব, নগর প্রচার সম্পাদক ও ৬ নং ওয়ার্ড প্রার্থী  মো:তরিকুল ইসলাম কাবির,১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী  মো: আব্দুর রশীদ, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম কিবরিয়া, মো: জসিম উদ্দিন মো: রবিউল ইসলাম তুষার, মাও: আব্বাস আমিন, মাওঃ আব্দুস সাত্তার হালদার, ডা: কে এম আল-আমিন এহসান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, ডা. শহিদুল ইসলাম,  মাওঃ মুজিবুর রহমান, মো: হযরত আলী, গাজী মিজানুর রহমান, শ্রমিক নেতা মাওলানা গাজী নূর আহম্মদ,  আবুল কালাম আজাদ  ছাত্র নেতা শেখ মুহা. আমিরুল ইসলাম, কে.এম আব্বাস আলী, এম.এ হাসিব গোলদার প্রমুখ।