কেশবপুরে এক শ্রেনীর দেহ ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

0
145

কেশবপুর প্রতিনিধি:
কেশবপুরে এক শ্রেনীর দেহ ব্যবসায়ীর নিজদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলা ব্যপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের সাথে ভাল স্বক্ষতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছুই বলে না। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে বিগত দু’এক বছর ধরে বেশ কয়েকজন যুবতী মহিলা ও উঠতি বয়সী মেয়েদের দিন রাতের অধিকাংশ সময়ে কেশবপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রাম্য হাটবাজারে বিচারন করে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তাদের মূলতঃ কাজ হলো দেহ ব্যবসা ও চাঁদাবাজী করা।

বিভিন্ন দপ্তর ও রাজনৈতিক অফিস ঘুরে ঘুরে সেলামী আদায় করা এমনকি কোন রাজনৈতিক সমাবেসে সুসজ্জিত অবস্থায় হাজির হয়ে যুবকদের মনোরজ্ঞন করায় তাদের উদ্দেশ্য। আর তাদের এই কাজের সুভিধার জন্য অধিকাংশ সময়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন ক্লাবের নামে সদস্য পরিচয় দিয়ে নামের আগে সাংবাদিক লিখে কোন পত্রিকার পরিচয় ছাড়ায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা আদায় করে চলেছে। যার কারণে দেশে করোনা মহামারী চলাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠন বন্ধ থাকায় উঠতি বয়সী যুবকদের চরিত্রের অবক্ষয় ঘটছে। বৃহত্ত্বর রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তারা কেউ কেউ আবার স্বামী পরিত্যাক্তা।

মফস্বলে তাদের বাড়ি থাকলেও এই পেশার সুবিধার জন্য কেউ কেউ কেশবপুর উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। দিন রাতের অধিকাংশ সময়ে ভ্যান বা বিভিন্ন বাহন যোগে দিন রাতের অধিকাংশ সময়ে উপজেলা ব্যাপী তারা ঘুরে বেড়ায় এবং গ্রাম্য শালিশেও তারা অংশ নিয়ে থাকে। এদিকে বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাংঙ্গিয়ে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বেকার যুবকদের নিকট হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারো অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা বিলাসবহুল জীবনের চলাফেরা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। এব্যাপারে বিভিন্ন সূধীজনের সাথে আলাপ কালে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তাঁরা বলেন চোখের সামনে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে কিন্তু বোলবো কাকে? বলার কিছু নেই। তারা আবার কেউ কেউ বিভিন্ন নেতা/কর্মীদের আশে পাশে ঘুরে ঘুরে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মীর পরিচয় দেয় অথচ তারা কোনো দলের না এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে তাদের বিচরণ বন্ধের দাবী জানান সুধী ও অভিজ্ঞ মহল।

উপজেলা পরিষদের অনেক কর্মকর্তা বলেন এরা আবার কারা ? অফিস পাড়ায় প্রায় তাদের ঘুরতে দেখা যায়। সরকারী কোনো কর্মসুচীতে তারা সামনের সারী দখল করে আগেভাগে বসে পড়ে। তারা মোনেহয় ফেসবুক সংবাদ কর্মী? কেশবপুর পৌর সভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন রমজান মাসে ও ঈদের বাজারে এদের স্বরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। সৌজন্য সাক্ষাতের নামে শুধু করেছে চাঁদাবাজী। (সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন করা হলো।)

খুলনা টাইমস/এমআইআর