কুল্যায় নারী উত্যক্তকারী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

0
215

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় নারী উত্যাক্তকারী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত ইজহার দাখিল করা হয়েছে। উত্যক্তকারীর নাম মাসুম মালী। তিনি কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের মৃত আবু বক্কর মালীর পুত্র। বৃহস্পতিবার গ্রামের শত শত মানুষ তার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার কূ-কীর্তির অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরার গ্রামের মৃত শাহাজুদ্দীন মালীর পুত্র এরশাদ মালী লিখিত ইজহারে জানান, (স্কুল শিক্ষক) মাসুম মালী নারী উত্যক্তকারী, এলাকাবাসীর কাছে ঘৃণ্য, একাধিকবার উত্যাক্ত করা ঘটনায় ধৃত হয়ে গণধোলই খেয়ে হাতে পায়ে ধরে আর এমন কর্ম করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেহাই পান। অভিযুুক্ত মাসুম এমন রাত নাই যে রাত্রে গ্রামের কোন না কোন বাড়িতে প্রবেশ করে কানপাতা, ঘরের পিছনে লুকিয়ে থাকেনা। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত্র ১১.৩০ টার দিকে সে বাদীর পুত্রবধূর ঘরের জানালা দিয়ে টর্চলাইট মেরে পুত্রবধূর অসতর্ক ঘুমন্ত অবস্থা দেখতে থাকে। চোখে লাইটের আলো পড়লে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সেও টর্চ লাইট মেরে কে টর্চ মারলো খুঁজতে থাকে। মাসুম তখন তাকে দরজা খুলে বাইরে আসতে বললে পুত্রবধূ চিৎকার করলে স্বামী এমরান হোসেন জেগে দ্রæত দরজা খুলে তাকে জাপটে ধরে। ধাক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে পালাতে থাকলে টর্চ জালিয়ে পিছু নিলেও তাকে আর ধরতে পারেননি। ঘটনা জানতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে রুনা পারভীন, এমরান, মোসলেমা, আসাদুল, সালমা, বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, হাজী আঃ হান্নান, রোস্তম, ফরিদ আহমেদ, রহমত, ইলিয়াছ, তুহিনসহ বহু নারী পুরুষ জানান, অভিযুক্ত মাসুম ইতিপূর্বে এক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেম করে সমালোচনা মুখে পড়েছিলেন। তিনি প্রায়ই বার্থরুমের ছিন্দ্র দিয়ে, ঘরের জানালা ও দরজা দিয়ে উকি মারা, পুকুরের গোসলরত মহিলাদের দিকে তাকিয়ে থাকাসহ নারীদের উত্যাক্ত করে থাকেন। এনিয়ে কয়েকবার শালিস হয়েছে। কিছু বলতে গেলে তার দলবল নিয়ে মারতে যাওয়া সহ চরমভাবে শাসিয়ে থাকে। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এব্যাপারে তারা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।