কলারোয়ায় থানা পুলিশের টাকা হজম করতে না পেরে ফেরত

0
294

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:
কলারোয়ায় থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে ৭০০০ হাজার টাকা নিয়েছে এক প্রতারক। অবশেষে ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে ওই প্রতারক পুলিশির গ্রেফতারের ভয়ে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। শনিবার (২নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ টাকা ফেরত দিয়েছে উপজেলার জয়নগর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মিন্টু পাল। সে ওই গ্রামের সুবীর পালের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-গত ১৯অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে পাটকেলঘাটার মির্জাপুর গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে চয়ন ঘোষ তার এলাকার বন্ধু এক মুসলিম মেয়েকে নিয়ে কলারোয়ার জয়নগর গ্রামের দক্ষিণপাড়া পুজা মন্ডপ ও খৃষ্টান মিশনের মাঝখানে এসে গল্প করে। এসময় ওই এলাকার কিছু লোকজন তাদের সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে স্থানীয় সরসকাটি পুলিশ ফাড়ীর আইসি আসাদুজ্জামান আসাদ, ইউপি সদস্য জয়দেব সাহা, রওশন আলী ও মন্টু পাল সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে চয়ন ঘোষকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে মুদি ব্যবসায়ী মন্টু পাল তার আতœীয় পরিচয় দিয়ে চয়ন ঘোষকে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বাড়ীতে পৌছে দেয়। সেখানে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চয়ন ঘোষের বাড়ীতে বলা হয় পুলিশ ফাড়ির আইসি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে এই মুহুতে ১০ হাজার টাকা দেয়া লাগবে। টাকা না দিলে থানায় আপনাদের নামে মামলা হবে। ভয়তে তারা নগদ ৭ হাজার টাকা তুলে দেয় মিন্টু পালের হাতে। ওই টাকা পেয়ে মিন্টু পাল কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে ভারতে চলে যায়। মিন্টু পাল বাড়ীতে এসেই বাকী ৩ হাজার টাকা দাবী করে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে চয়ন ঘোষের মাতা জয়ন্তী চন্দ্র ঘোষ ধানদিয়া চৌরাস্তার মোড় বাজারে এসে স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের কাছে এ ঘটনা খুলে বলে। এসময় ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে পড়ে। পরে ২ নভেম্বর শনিবার সকালে চাপের মুখে মিন্টু পাল উক্ত ৭ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। এবিষয়ে জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু জানান-প্রতারনা করে মুদি ব্যবসায়ী মিন্টু পাল সরসকাটি পুলিশ ফাড়ীর আইসি ও ইউপি চেয়ারম্যানের নাম করে ওই টাকা নিয়েছে বলে তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছেন। চয়ন ঘোষের মাতা জয়ন্ত্রী চন্দ্র ঘোষ জানান-তারা এখনো টাকা পননি। শুনেছেন ইউপি সদস্য রওশন আলীর কাছে টাকা জমা রয়েছে। অন্যদিকে ইউপি সদস্য রওশন আলীর সেল ফোনে ০১৭৮২১১০৪৭৯ কয়েকবার কলদিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভর হয়নি। সরসকাটি পুলিশ ফাড়ির আইসি বদলি হয়ে যাওয়ায় তার মন্তব্য নেয়া যায়নি। এদিকে অভিযুক্ত মিুদি ব্যবসায়ী মিন্টু পাল জানান,তিনি পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের নামে ৭০০০ হাজার টাকা নিয়েছেন। পরে অবশ্যই সেই টাকা ইউপি সদস্য রওশন আলীর কাছে শনিবার সকালে ফেরত দিয়েছেন।