কমরেড হাফিজুর রহমানের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা

0
279

খবর বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি’র পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড হাফিজুর রহমান ভূইয়ার আজ ১২ ফেব্রুয়ারী ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ১৯৪৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুর রব ভূইয়া ও মাতার নাম তহুরুন্নেছা। তিনি ৭৩ বছর বয়সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর ২:৪৫টায় মৃত্যুবরণ করেন। হাফিজুর রহমান ছাত্রাবস্থায় ফুলতলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ কালীপদ ঘোষের হাত ধরে ১৯৬০-৬১ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। এ সময় কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকায় ভাসানী ন্যাপের রাজনীতি করতেন। ১৯৬৬ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সভ্যপদ লাভ করেন। দেশ স্বাধীনের পর লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করার পর পার্টির সিদ্ধান্তে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করতে বটিয়াঘাটা ডেউয়াতলা হাই স্কুলে ৬ মাসের জন্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পার্টির সিদ্ধান্তে ১৯৬৬ সালে ১১ এপ্রিল শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হয়ে প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীর সুবাদে ঐ মিলে বার বার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়া আলীম ও ইষ্টার্ণ জুট মিল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পাট-সুতা-বস্ত্রকল সংগ্রাম কমিটির খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ৫ বার কারাভোগ করেন। তিনি বিল ডাকাতিয়া সংগ্রাম কমিটির আন্দোলন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলন, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রক্ষা ও মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর হাত ধরে ফুলতলা এম এম কলেজ, ফুলতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তিনি পার্টির রাজনীতিতে কখনও নিষ্ক্রিয় ছিলেন না। ১৯৮৫ সালের পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে পার্টির ৭ম কংগ্রেসে পলিটব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পলিটব্যুরোর সদস্য ও খুলনা জেলা পার্টির সভাপতি ছিলেন। আজ সকাল ৯টায় তাঁর সমাধীতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হবে এবং বিকেল ৩টায় ফুলতলা স্বাধীনতা চত্বরে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন গণমানুষের নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননÑএমপি।