কবি দুখু বাঙাল ও সাংবাদিক নন্দী পাচ্ছেন সাহিত্যিক ইমদাদুল হক সম্মাননা

0
177

খবর বিজ্ঞপ্তি:
‘কাজী ইমদাদুল হক সন্মাননা ২০২০’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কবি দুখু বাঙাল ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী। বুধবার (৪ নভেম্বর) কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৯ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে কবি দুখু বাঙাল ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দীকে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান। কাজী ইমদাদুল হক সন্মাননা ২০২০-এর জন্য সমকালীন বাংলা সাহিত্যে কবিতায় বিশেষ অবদান রাখায় কবি দুখু বাঙাল এবং বাংলা সাহিত্য প্রবন্ধ ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী মনোনীত হয়েছেন। কবি দুখু বাঙাল ৩০ জুন ১৯৫৭ সালে পটুয়াখালী জেলার ছোট ডালিমা প্রামে জন্মপ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কিশোরযোদ্ধা তিনি পুলিশ ইন্সপেক্টর পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী ২ এপ্রিল ১৯৬৩ সালে খুলনায় জন্মপ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে এনজিওতে চাকুরি নেন। আবারও ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতার চাকরিতে ফেরেন। ভোরের কাগজ, দৈনিক জনকন্ঠ হয়ে বর্তমানে কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরোপ্রধান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও পরিবেশ বিষয়ক তাঁর বারোটি গ্রন্থ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কথাসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের জন্ম ৪ নভেম্বর ১৮৮২ সালে খুলনার গদাইপুরে। পিতা কাজী আতাউল হক প্রথমে আসামে জরিপ বিভাগে চাকরি করতেন, পরে খুলনার ফৌজদারি আদালতে মোক্তার হন। লেখাপড়া করেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। কর্মজীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি সম্পাদনা করেন মাসিক পত্রিকা শিক্ষক। তিনি কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও নীতিমূলক শিশুসাহিত্য লেখেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রন্থগুলো হলো : আঁখিজল (১৯০০), মোসলেম জগতে বিজ্ঞানচর্চা (১৯০৪), ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দু ভাগ, ১৯১৩, ১৯১৬), নবীকাহিনী (১৯১৭), প্রবন্ধমালা (১৯১৮), কামারের কা- (১৯১৯) ও আবদুল্লাহ (১৯৩২)। আবদুল্লাহ উপন্যাসের লেখক হিসেবেই তিনি পরিচিত। এই উপন্যাসে তত্কালীন মুসলিম সমাজের নানা দোষত্রুটি তিনি দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেন। বাঙালি মুসলমান সমাজের কল্যাণসাধন ছিল ইমদাদুল হকের সাহিত্য সাধনার মূল লক্ষ্য। তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সরকার তাঁকে ১৯১৯ সালে ‘খান সাহেব’ এবং ১৯২৬ সালে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯২৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় তিনি মারা যান।