টাইমস ডেস্ক:
সিলেটের বন্দরবাজার থানা পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিনের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই পঞ্চগড় সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ইমিগ্রেশন। তবে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পঞ্চগড়ের একমাত্র চতুর্দেশীয় বন্দর (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় এ পথ ব্যবহার করে কেউ ভারতে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশনের কনেস্টবল আমিনুল ইসলাম। পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, যাতে করে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কেউ পারাপার না হতে পারে তাই আমরা সবসময় পুরো সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকি। কোনো অপরাধী বা ব্যক্তি অবৈধভাবে এই সীমান্ত পথ ব্যবহার করতে পারবে না। উল্লেখ্য, সিলেটের বন্দরবাজার থানা পুলিশ গত ১০ অক্টোবর রায়হান উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করে। অভিযোগ উঠেছে, ওই দিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন থেকে ছেলের ফোন পায় রায়হানের বাবা। তাতে ওই ফাঁড়িতে তাকে আটকে রেখে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানায় রায়হান। বাবাকে টাকা নিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের অনুরোধও করেন রায়হান। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে তাকে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে। সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে। পরে সকাল ১০টার দিকে গেলে তাকে বলা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছেন। এরপর মৃত ছেলের শরীরে নির্যাতনের ভয়াবহ চিহ্ন দেখতে পান তিনি। এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলা দায়েরের পর এর তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।