ইমরুলের ডাবল সেঞ্চুরির পরেও খুলনা-রংপুর ম্যাচ ড্র

0
290
????????????????????????????????????

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দুই স্তরে (প্রথম এবং দ্বিতীয়) চারটি ম্যাচ মাঠে গড়ালো একসঙ্গে। শেষও হলো একসঙ্গে। এই চার ম্যাচে সেঞ্চুরি হলো কেবল একটি। তাও খুলনার ওপেনার ইমরুল কায়েসের কল্যাণে। শুধু সেঞ্চুরি করেই ক্ষ্যান্ত হননি জাতীয় দলের এই ওপেনার। ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি।
ইমরুল কায়েসের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরির ওপর ভর করেও কিন্তু জিততে পারলো না খুলনা বিভাগ। স্থানীয় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ইমরুল কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরির ফলে খুলনা ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৫৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ৩১৯ বল খেলে ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। ১৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মারও মারেন তিনি।
খুলনার ইনিংসে ওপেনিং জুটিতেই বাজিমাত করে খুলনা। রবিউল ইসলাম রবি এবং ইমরান উজ্জামানের ব্যাটে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে তোলে খুলনা। ৭১ রান করে আউট হন ইমরান উজ্জামান। রবিউল ইসলাম রবি আউট হন ৭৬ রান করে। সৌম্য সরকার ৯১ বল খেলে করেন ৩৬ রান।
৯ম উইকেট জুটিতে রুবেল হোসেনকে নিয়ে দারুণ খেল দেখান ইমরুল। ৩২৮ রানে খুলনার পড়েছিল ৮ম উইকেট। এরপর মাঠে নামেন রুবেল। জাতীয় দলের এই পেসারকে নিয়ে ইমরুল কায়েস গড়েন ৮৪ রানের জুটি। যেখানে রুবেলের অবদান ছিল মাত্র ২ রান। ৪৪ বল খেলে ২ রান করে যখন রুবেল আউট হন, তখন খুলনার রান ৪১২।
১০ উইকেটে আল আমিন হোসেনকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে তোলেন ইমরুল। এখানেও বাজিমাত করেন তিনি। আল আমিন হোসেন ৩ বল মোকাবেলা করেন শুধু। রান করেন ১টি। বাকি সব বল মোকাবেলা করেন ইমরুল এবং তার ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরই অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক ইনিংস ঘোষণা করেন ৪৫৪ রানে।
রংপুর বিভাগ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২২৭ রান। ২২৭ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রংপুর। তবে তারা মাত্র ৯ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়। তাতে স্কোরবোর্ডে রান তোলে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৩। এরপরই নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে ম্যাচটা হয়ে গেলো ড্র। অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচ সেরা হলেন ইমরুল কায়েস।