ইটভাটার পেটে নদী, চিন্তিত এলাকাবাসী

0
118

মোক্তার হোসেন, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
খুলনায় ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম নীতি, পরিবেশ আইন বা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন যে, কোনো কাজে আসছে না তা বোঝা যায় ভদ্রা নদী দখল করে গড়ে ওঠা ইটভাটা দেখলে। ইটভাটার মালিক ভাটার জমি বাড়াতে গিয়ে ভদ্রা নদী গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছেন। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা, হরি ও ঘ্যাংরাইল নদী, রূপসার আঠারোবাকি নদী, বটিয়াঘাটার কাজিবাছা নদী, পাইকগাছার শিবসা নদী, কয়রার কপোতাক্ষ নদসহ বিভিন্ন নদীর পাড়ে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। এসব ভাটা মালিকরা প্রতি বছর নদীর বুক দখল করে ভাটার বিস্তৃতি বাড়াচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খর্ণিয়ায় অবস্থিত পাইকগাছার সোহরাব সাহেবের এফএমবি নামের একটি ইটভাটা নদীর তীর ঘেঁষে দেওয়া ভেড়ি বাঁধ অতিক্রম করে আরও ২০ থেকে ৩০ ফিট নদীর ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। ভাঙা আধলা ইট-সুরকি ও মাটি দ্বারা ভরাট করা হচ্ছে, ফলে একদিকে যেমন নদীর বহমান ¯্রােত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি পলি ভরাট হয়ে নদী হচ্ছে সংকীর্ণ।

এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদী ভরাট হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বাড়বে জনদূরভোগ। ভাটা মালিকেরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় মালিকদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহসও পায় না। ভাটাগুলোর অধিকাংশ বসতবাড়ির ৫০ থেকে একশ গজের মধ্যে। বসতবাড়ির কাছে হওয়ায় ভাটার ধোঁয়া-বালুতে অতিষ্ট বাসিন্দারা। ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার চারপাশে মাটি ফেলে ভদ্রা নদীর চর ভরাট করে পুরো জমি উঁচু করা হয়েছে। খননযন্ত্র (এস্কেভেটর) দিয়ে বড় বড় গর্ত করে মাটি তুলে ইট তৈরি করা হয়ে থাকে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে এফএমবি ব্রিকসের মালিক সোহরাব সাহেব বলেন, আমি মালিকানা রেকর্ডীয় জমি ভরাট করছি, এটা দেখার দায়িত্ব সরকারের সমস্যা হলে সরকার দেখবে। আমার সম্পদ আমি পূরণ করে নিচ্ছি। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে নদী ভাঙনের জায়গায় ভরাট করার নিয়ম নাই।

খুলনা টাইমস/এমআইআর