ইছামতি নদীরপাড় কেটে পাইপ বসিয়ে মৎস্য পয়েন্ট তৈরি, ঝুঁকিতে বেড়ি বাধ

0
30

দেবহাটা প্রতিনিধি: ইছামতি নদীর পাড় কেটে অবৈধ ভাবে পাইপ বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য রেণু প্রসেসিং পয়েন্ট। নদী পাড়ে সরকারি জমি দখল করে শত শত বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এ মৎস্য পয়েন্ট বা হ্যাচারী। যা বছরের পর বছর ধরে আসলেও বন্ধের উদ্যোগ নেন না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইছামতি নদীর পাড় ঘেঁষে নদী পাড়ের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে ছোট বড় মৎস্য পয়েন্ট। যেখানে গভীর করে পানি আটকে রেখে নদীর চিংড়ি রেণু চালাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। নদী পাড়ের জমিতে বাধ দিয়ে পানি আটকে রাখা এবং পাইপ দিয়ে পানি উত্তোলন করছেন দখলকারীরা। সেই সাথে জোয়ারের পরে ভাটিতে পয়েন্টের পানি পাইপ যোগে নদীতে ফেলায় ভাঙছে পাড়। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা দেবহাটা এলাকার ইছামতি নদীর পাড়ের কয়েক শত বিঘা জমির মৎস্যঘের, ফসলের মাঠ, বসতবাড়ির আঙিনা। বিশেষ করে ইছামতি নদীর টাউনশ্রীপুর স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেছে, নুর মোহাম্মাদ আলী ও তার ছেলে আবু হাসান এবং জনাব আলী, দিন মোহাম্মাদ এর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, করিম উল্লাহ, নুর মোহাম্মাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, জনৈক ইব্রাহিম, জনৈক অহেদ আলী, জিয়াদ আলীর ছেলে আফসার আলী, সাফাতুল্লাহ’র ছেলে আয়ুব আলী, জনৈক আব্দুল বেটলো, ইমান আলীর ছেলে পিন্টু ও মিন্টু পাড় দখল করে গড়ে তুলেছেন আলাদা আলাদা মৎস্য পয়েন্ট।
এবিষয়ে জনাব আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নদীর পাড় কেটে মাছের পয়েন্ট করছেন। তাদের এই বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাহাবুব রহমান সহ অনেকে জানেন। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কাজ করে দেই তাই বাড়তি সুবিধা পাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ নং পোল্ডারের সেকশন অফিসার (এসও) মাহাবুব রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে অপরাধ পরিলক্ষিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here