আশাশুনিতে মাদকাসক্ত ও চাঁদাবাজদের ষড়ন্ত্রের স্বীকার আ’লীগ নেতা!

0
269

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, হত্যা মামলার আসামী ও মাদকাসক্তদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মুনছুর আলি গাজী আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বালিয়াপুর মৌজায় সাবেক ২৭১ খতিয়ানে ৮/১৫২ দাগে ২১.৩৩ একর জমি ৯২/ক লাওয়ারেশ হিসাবে ১ নং খতিয়ান ভুক্ত করা হয়। ভূমি মালিক তিনি, আলী হায়দার ও ছোহরাব ২০০৫ সালে বিজ্ঞ সাব জজ-২ আদালতে জমি ফেরৎ পেতে মামলা করেন। উক্ত জমিতে তারা দখলীকার আছেন। জমির মধ্যে ৪ বিঘা জমি তারা বসুখালী মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, হাফেজিয়া মাদরাসা ও দাখিল মাদরাসার অনুকূলে সাইনবোর্ড গেড়ে দখল বুঝিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠান কমিটি উক্ত জমি এরশাদের কাছে হারি দেয়। এরশাদ গোপনে ২ বিঘা জমি বিক্রয় করলে বাকী ২ বিঘা জমি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হোসেন এর কাছে হারী দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আক্কাজ, সদস্য হাজী সারাকাত ও আলী হায়দার উক্ত জমি তুহিন হোসেন লিটনকে হারী দেন। জমি প্রতিষ্ঠানের নামে ডিসিআর না হওয়ায় তুহিনের নামে ডিসিআর নেওয়া হয় এবং বর্তমানে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মসজিদের মুসল্লি মাওঃ রেজাউলের নামে বন্দোবস্তের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু জমি না পাওয়ার প্রতিহিংসার জের ধরে এরশাদ শাহাদাৎ, হামিদুল ও হাফেজ আয়ুবের নেতৃত্বে ২৫/৩০ ব্যক্তি সন্ত্রাসী স্টাইলে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত্র ৮টার দিকে উক্ত ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে, তার স্ত্রী ও পুত্রকে বেদম মারপিট করে ২০/৩০ হাজার টাকার মাছ লুট করে এবং ঘেরের বাসা ভেঙ্গে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরদিন ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থানে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু এরপরও শাহাদাৎ নিজেকে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি এলাকায় মানববন্ধন করেন। যেখানে তাকে (মুনছুর) উল্টো চাঁদাবাজ, মসজিদের জমি দখলকারী হিসাবে চিত্রিত করে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও সর্বোপরি দলীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।