আশাশুনিতে গ্রাম আদালতের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং

0
452

আশাশুনি প্রতিনিধি:
“অল্প সময়ে সল্প খরচে, সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রাম আদালতের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির অর্থায়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গ্রাম আদালতের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোষ্টার ও প্লাকার্ডে সজ্জিত ভ্যানটি প্রকল্পের আশাশুনি উপজেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে কাদাকাটি ইউনিয়নব্যাপী মাইক যোগে গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালান। উল্লেখ্য, গ্রাম আদালতে পঁচাত্তর হাজার টাকা মূল্যমানের দেওয়ানি ও ফৌজদারী বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। এক্ষেত্রে ফৌজদারী মামলার জন্য মাত্র ১০ টাকা ফিস এবং দেওয়ানী মামলার জন্য মাত্র ২০ টাকা ফিস দিতে হয়। এছাড়া আর তেমন কোন খরচ নেই। গ্রাম আদালতে কোন উকিলের দরকার হয় না। আবেদনকারী কর্তৃক মনোনীত ২ জন প্রতিনিধি (একজন ইউপি সদস্য ও একজন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি) একই ভাবে প্রতিবাদীর ২ জন প্রতিনিধি মনোনয়ন করবে, এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানই হবেন গ্রাম আদালতের বিচারক। এভাবে ৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে একটি মামলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে, গ্রাম আদালতে ন্যায় বিচার অবশ্যই সম্ভব। এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার ইউনিয়নের সকল জনসাধারণকে গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত পঁচাত্তর হাজার টাকা মুল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার জন্য থানা কিংবা উচ্চ আদালতে না গিয়ে সুষ্ট সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আসার আহ্বান জানান।