আবারো শোয়ার্জনেগার ‘টার্মিনেটর’

0
257

খুলনাটাইমস বিনোদন: হলিউডের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অন্যতম প্রিয় নাম ‘টার্মিনেটর’। এ সিরিজের সিনেমাগুলো বক্স অফিসে দারুণ আলোড়ন তুলেছে। বিরতি ভেঙে আবারো পর্দায় আসছে ‘টার্মিনেটর’। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের নতুন সিনেমা ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে এটি। প্রায় ২০০ মিলিয়ন বাজেটের এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন টিম মিলার। প্রযোজনা করেছেন জেমস ক্যামেরন ও ডেভিড ইলিসন। মূলত ‘ডার্ক ফেইট’ জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘টার্মিনেটর: জাজমেন্ট ডে’-এর (১৯৯১) সরাসরি সিক্যুয়েল। এতে ‘টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অব দ্য মেশিন’ (২০০৩), ‘টার্মিনেটর স্যালভেশন’ (২০০৯) এবং ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’-এর (২০১৫) অনেক যোগসূত্র থাকবে। এই শেষ তিন পর্বে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও সেগুলো থেকে অনেক কিছু শিখেছেন ক্যামেরন। ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট’ সিনেমায় দর্শকদের জন্য চমক থাকছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রযোজক জেমস ক্যামেরন অ্যাকশন হিরো শোয়ার্জনেগারের বিপরীতে দীর্ঘ বিরতির পর ফিরিয়ে আনলেন অ্যাকশন কুইন লিন্ডা হ্যামিল্টনকে। এবার প্রধান চরিত্রে থাকছেন তিনি। বিখ্যাত সারাহ কনর চরিত্রে আবারো অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। টার্মিনেটরের প্রথম কিস্তিতে ছিলেন সুন্দরী তারকা লিন্ডা হ্যামিল্টন। তারপর এই সিরিজ থেকে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন। এবার নতুন ঝাঁজালো, মারকুটে ভূমিকায় প্রত্যাবর্তন করছেন তিনি। লিন্ডা হ্যামিল্টন বলেন, ‘‘সেই ‘৯১ সালের ‘জাজমেন্ট ডে’-এর পর ফের একবার টার্মিনেটরের স্বাদ এই সিনেমায়। আর অ্যাকশন দৃশ্যগুলো আগের চেয়ে দশগুণ বড়। এ সিনেমা সম্পর্কে আর্নল্ড বলেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রম করো এবং নিষ্ঠার সঙ্গে খেল’Ñপুরো সিনেমা এই মূলনীতির ওপরে দাঁড়িয়ে। আমার মতে এটি একেবারেই ভিন্ন গল্পের আরেকটি টার্মিনেটর সিনেমা। এর পুরোটা জুড়ে জেমস ক্যামেরনের ছোঁয়া রয়েছে। তাই এটা সেই পুরোনো টার্মিনেটরের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত যতগুলো টার্মিনেটর সিনেমা দর্শকরা পেয়েছেন, তার মধ্যে এতে সবচেয়ে বেশি অ্যাকশন দৃশ্য থাকছে। এ সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশের আগে সিনেমাটির প্রযোজক ও সহ-চিত্রনাট্যকার বিশ্বনন্দিত নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘আগের দুটি মূল টার্মিনেটরের চাইতে এটা আরো দীর্ঘ, আরো দারুণ। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এটি আর-রেটেড (ভয়াবহ ভায়োলেন্সের জন্য রেস্ট্রিক্টেড রেটিং), এটি ভয়ানক, এটি বিস্ময়কর, এটি ক্ষিপ্র ও তীব্র। অন্যদিকে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক জেমস ক্যামেরন ‘টার্মিনেটর’ ফ্র্যাঞ্চাইজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ এ সিরিজের আরো সিনেমা আসতে পারে। এজন্য ‘ডার্ক ফেইট’-এর সাফল্য নির্ভর করছে। তার ভাষায়, ‘‘ডার্ক ফেইট’ দিয়ে যদি যথেষ্ট আয় করতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবে জানি পরের সিনেমাগুলোর কাহিনি কী এবং তার ভবিষ্যত কী হবে। কারণ এই চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে চিত্রনাট্য নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস এটি থেকে নতুন ট্রিলজির সূচনা হবে।