আজারবাইজান-আর্মেনিয়া পাল্টাপাল্টি দোষারোপ, যুদ্ধবিরতি আহ্বান নেটোর

0
231

টাইমস বিদেশ :
তুমুল লড়াই চালিয়ে আসা আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা নিয়ে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন নেটো প্রধান। নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে লড়াই-সংঘাতের নবম দিনে সোমবার আজরবাইজান বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলার জন্য আর্মেনিয়াকে দোষারোপ করে বলেছে, আর্মেনীয় বাহিনী ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা এবং অবকাঠামোকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। আর্মেনিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো আজারবাইজানকে দোষারোপ করেছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “আজেরি কর্মকর্তারা ভিত্তিহীন কিছু তথ্য ছড়াচ্ছেন, যার মধ্যে সত্যের কোনও বালাই নেই।” নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভিতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে আর আর্মেনিয়া অঞ্চলটিকে সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৯০ দশকে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও এই অঞ্চলটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে এটিই সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের ঘটনা। এক সপ্তাহ আগে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ লড়াইয়ে ইতোমধ্যে দুই শতাধিক মানুষ নিহত ও কয়েকশত লোক আহত হয়েছেন। সোমবার নাগোর্নো কারাবাখ জানিয়েছে, আজেরি বাহিনী তাদের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্রে রকেট হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলেছে, আর্মেনিয়া নাগোরনো কারাবাখেন বাইরে কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে। নাগোর্নো-কারাবাখের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আরও ২১ সেনা নিহত হয়েছে। সব মিলে লড়াইয়ের শুরু থেকে সেনা নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে। আর বেসামরিক মানুষ মারা গেছে ১৯ জন। ওদিকে, আজেরি কৌসুলির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, লড়াইয়ের শুরু থেকে ২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ১২৭ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যে নেটো প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সোমবার তুরস্ক সফরকালে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “সামরিক সংঘাত কোনও সমাধান বয়ে আনবে না।” কিন্তু দুপক্ষে লড়াই চলতে থাকায় এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট লড়াই বন্ধের শর্ত বেঁধে দিয়ে তাতে অটল থাকায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম অলিয়েভ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে সোমবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, লড়াই বন্ধ করতে হলে আর্মেনিয়াকে অবশ্যই নাগোর্নো কারাবাখ এবং আজেরি ভূখন্ডের আশপাশ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, “অন্য কোনও দেশের ভূখন্ডের দিকে আমরা দৃষ্টি দেই না। কিন্তু যে ভূখন্ড আমাদের সেটি আমাদেরই থাকা উচিত।”