আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে হবে

0
537

বিজ্ঞপ্তি : খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর হাতে গড়া একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের আছে স্বর্ণালী ইতিহাস। যে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ’৯০-এর গণঅভ্যূত্থান সহ বাঙালির অধিকার আদায়ের অসংখ্য সফল আন্দোলন। যার ফলশ্রুতি আজ আমরা মুক্তভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তভাবে রাজনীতি করতে পারছি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে এই ছাত্রলীগই বাঙালিকে এনে দিয়েছিলো লাল সবুজ পতাকা। সেদিন এই তরুণ নেতৃত্বের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলো বাংলার দুশমন পাকহানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা। বঙ্গবন্ধু’র বাংলাকে ওই সকল পরাজিত শত্রুরা বার বার ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করেছিলো। আজও তারা থেমে নেই। এই ছাত্রলীগই কখনও আন্দোলন করে, কখনও ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালির অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি অপরটি স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু। আমাদের সামনে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে হবে। সেজন্যেই ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে-পরাজিত শত্রুদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা যাবে নাকি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে। সেজন্যে ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের মত সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আসন্ন নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিটি পাড়া মহল্লা এবং ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের বুঝিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে বিজয় ছিনিয়ে এনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, রফিকুর রহমান রিপন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, হাফেজ মো. শামীম, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ মো. আবু হানিফ, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, এখতিয়ার মোল্লা, শেখ মোহাম্মদ, কামরুজ্জামান ইমরান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হোসেন সবুজ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এমডিএ বাবুল রানা, আবুল কালাম আজাদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মো. নুরুজ্জামান, হাজী মো. নুরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মীর বরকত আলী, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, মুশফিকুর রহমান সাগর, এম এ নাসিম, সাদনান নাহিয়ান সিজান, সোহেল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান বাবু, এস এম মাসুদ হোসেন সোহান, রনবীর বাড়ৈই সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, সানজিদা আক্তার সোমা, জব্বার আলী হিরা, সাইফুল ইসলাম মানিক, ঝলক বিশ্বাস, মিনহাজ সুজন, আলিমুল জিয়া, সোহান হোসেন শাওন, আরাফাত হোসেন মিয়া, তরিকুল ইসলাম তুফান, আসাদুজ্জামান সানি, শাহিন আলম, দিবাকর সাহা, জহির আব্বাস, সাইফুজ্জামান সাগর, মো. রাজু হোসেন, জোয়েব সিদ্দিকী, মশিউর রহমান বাদশা, জনি বসু, রাকিব মোড়ল, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুম্মান আহমেদ, আতিকুর রহমান সোহাগ, আশরাফুল ইসলাম রবিন সহ নগরীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।