অবশিষ্ট জমি ফিরে পেতে ইউএনও’র দারস্থ শতাধিক ভূমিহীন পরিবার

0
437

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ায় ভদ্রানদী খননের পর নদীর দু’পাশে বনায়নের কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা সামাজিক বনায়ন অফিস। এতে শত শত ভূমিহীন পরিবার তাদের পূর্বের দখলীয় ও দলিলকৃত জমি ওই বনায়নের আওতায় পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবারগুলি। আশু খননের পর অবশিষ্ট জায়গা ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরনাপন্ন হয়েছে শতাধিক পরিবার।

ভূমিহীন পরিবারের দাখিলকৃত আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে উপজেলার মরা ভদ্রানদী খনন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে সরকারের দেয়া বন্দোবস্ত কৃত শত শত হেক্টর জমি ও বাড়ীঘর খননের আওতায় পড়ে নদীতে পরিনত হয়।উপায়ন্ত না পেয়ে গৃহহীন হয়ে শত শত ভূমিহীন পরিবার আশ্রয় নেয় রাস্তার উপর। নদী খননের পর থাকা অবশিষ্ট জায়গাটুকু দেখে তাদের চোখেমুখে ফুঁটে ওঠে সোনালী স্বপ্ন। কিন্তু বনায়ন কার্যক্রম শুরু দেখে সে স্বপ্নও আজ বিলিন হতে চলেছে। উপায়ন্ত না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দারস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি।

ভূমিহীন সন্তোষ মল্লিক, কাশেম গাজী, শ্যামল মল্লিক, কার্ত্তিক সরকার, মাখম কর্মকার, চন্দ্রকান্ত বসাকসহ অনেকে জানান, নদী খননের ফলে আমরা গৃহহারা হয়ে রাস্তায় উঠেছি। এবার অবশিষ্ট জায়গাটুকু কেড়ে নিলে আমরা সর্বশান্ত হয়ে যাবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সামাজিক বনকর্মকর্তা মোঃ ফোরকানুল আলম বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নদীর দু’পাড় বনায়নের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যে ফলজ,বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে এবং এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, গৃহ নির্মাণ নয়, বনায়নের ফাঁক দিয়ে পূর্বের মালিকেরা সব্জির আবাদ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে কোন আপত্তি থাকবে না।