তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা পরশ বিশ্বাসের রাতের আধারে ত্রাণ বিতরণ

0
626

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাসের নিষ্ঠুর ছোবলে সারাবিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। এমন পরিস্থিতে খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ-দুর্দশার যেন অন্ত নেই। তাদের সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, জীবন না জিবিকা? জীবন বাঁচাতে গেলে জিবিকা থাকবেনা। আর জিবিকার সন্ধানে বেরুলে জীবন হুমকির মুখে। এমন সমীকরণের মুখে এসে দাড়িয়ে সবার একটাই জিজ্ঞাসা আর কতদিন থাকবে এই বৈশ্বিক মহামারি? তবে আশার কথা হলো, বাংলার মানুষ নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অন্যকে দিতে জানে। তাই তারা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি তার আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। এমন হাজারও জনের মধ্যে একজন খুলনার তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান পরশ বিশ্বাস। বয়সে বেশি বড় না হলেও, মনের দিক থেকে অনেক বড়। নিজের ওয়ার্ডের এমন একটা স্থান নেই যেখানে তিনি নিজ উদ্যোগে করোনার কারণে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা করেননি। এখনও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। শুধু মানুষকে দেখিয়ে বিতরণ করছেন, তা কিন্তু নয়। এবার দেখা গেলো অন্য এক চিত্র। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর বিভিন্ন মোড়ে স্ব-স্ত্রীক গোপনে ত্রাণ বিতরণ করছেন। তিনি এবং তার স্ত্রী গাড়িতে প্যাকেট করা ত্রাণ সামগ্রী এনে রাস্তার পাশে বসে থাকা অসহায়, কর্মহীন, দুস্থ মানুষদের পাশে এসে তাদের খোজ খবর নিচ্ছেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা রাতের আধারে রাস্তায় বসে আছে একটু সাহায্য সহযোগিতার জন্যে, তাদের পাশে দাড়নোটা আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পরে। কারণ তারা খুবই অসহায়, কারো নিকট গিয়ে ত্রাণ না পেলে তবেই রাস্তায় এসে বসে। একটু আশায় থাকে কে আসবে, তাদের একটু খাবার দিতে। আমি অনেক দিন থেকে এই ব্যাপারটা লক্ষ করেছি, তাদের মধ্যে একটা হাহাকার কাজ করে। তাদের পাশে দাড়ানো আমাদের একান্ত প্রয়োজন। তাই আমি ও আমার স্ত্রী তাদের রাতের আধারে কিছু দেয়ার উদ্যোগ নেই।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে তার ওয়ার্ডের অনেক অসহায় কর্মহীনদের মাঝে রাতের আধারে তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তবে ভ্রাম্যমান অসহায় মানুষদের মাঝে এবার থেকে শুরু। যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন তার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।