শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবলে শরণখোলায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেরীবাধ গড়িয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। সহ¯্রাধিক বাড়ীঘর বিধস্ত। কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুত সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ জেলেদের জাল সহ মাছধরা ট্রলার ও নৌকা।
সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, রবিবার সকালে ঝড়ে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় বলেশ্বর নদীর পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরীবাধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাধ উপচে পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ সাউথখালী, উত্তর সাউথখালী ও বগী গ্রাম প্লাবিত হয়। মানুষের বাড়ীঘরে পানি উঠে যায়। ঝড়ে তার ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘরবাড়ী ভেঙ্গেছে। সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হ”্ছে বলে তিনি জানান। রবিবার দুপুরে ওই তিন গ্রামে রান্নাবান্না হয়নি বলে গ্রাম পুলিশ আঃ সালাম হাওলাদার জানিয়েছেন। ঝড়ে উপজেলায় কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে লাইনের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাড়ীঘর ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহিনুজ্জামান ও শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন গাবতলায় বেরীবাধ ভাঙ্গন কবলিত স্থান সহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ঝড়ে শরণখোলায় ৯৩৭টি বাড়ী আংশিক ৩৯টি বাড়ী পুর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত, কয়েক হাজার গাছপালা বিধস্ত সহ বিদ্যুত লাইনের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ জেলেদের জাল সহ মাছধরা ৪টি ট্রলার ও ২টি নৌকা। ভেঙ্গে গেছে আরো কয়েকটি মাছধরা নৌকা ট্রলার। তিনি আর্ োজানান, মানুষের জীবন রক্ষায় শনিবার রাতে উপজেলার ৯৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে এনে তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।